অপহরণের নাটক সাজানো সেই কথিত রহিমা খাতুন উদ্ধার

বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে শেষে পরিশোধ না করতে পেরে অপহরণের নাটক সাজানো সেই কথিত রহিমা খাতুন কে উদ্ধার করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ। ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করেছে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দামুড়হুদা উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের মৃত আবু বক্করের স্ত্রী রাহেলা খাতুন (৬৫) গত ১৯ জুন সন্ধায় সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন যে, তার মেয়ে রুবিনা খাতুন (৩০) তার স্বামী রাসেল (৩৫) ও তিন সন্তানসহ গত ১৫ জুন দুপুর ১২ টার দিকে নিখোজ হয়ে যায়।

পরবর্তীতে ১৯ তারিখ বেলা সোয়া ৫ টার দিকে রুবিনা তার ০১৭৫৪৬২৯৫৬৯ নম্বর দিয়ে তার ভাই আসাদুজ্জামানকে ০১৭২৩২০৩১১৯ নম্বরে কল দিয়ে বলে তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল পাড়াস্থ ডিজিটাল মোড়ে সাইদুরের বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে এস আই নিতিশ চন্দ্র সেখানে গিয়ে তল্লাশী চালিয়ে ঘটনার কোনো সত্যতা পাইনি।

প্রাপ্ত অভিযোগের বিষয়বস্তুতে যথেষ্ট সন্দেহ হওয়ায় তাৎক্ষনাত বিষয়টা চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপারকে জানানো হলে তার নির্দেশনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জের তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশে এসআই নিতিশ চন্দ্র তদন্ত শুরু করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের এসআই নিতিশ চন্দ্র ও তার চৌকস টিম গত ২২ তারিখে ভিকটিমের লোকেশন নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ফোর্সসহ রওনা হয়ে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন এলাকা থেকে ভিকটিম উদ্ধার করে বুধবার (২৩ জুন) চুয়াডাঙ্গ সদর থানায় হাজির হন।

উদ্ধারকৃত কথিত অপহৃত ভিকটিমকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে সে স্বীকার করে যে, তাকে কেউ অপহরণ করেনি। সে ও তার স্বামী পাওনাদারদের চাপে এবং ওনাদারদের হাত থেকে বাচার জন্য এই মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার নিরাময় ক্লিনিকের মালিক সাইদুরের নিকট থেকে উল্লেখিত কথিত ভিকটিম ও তার স্বামী সম্পূর্ণ প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তাঁরই নিকট আত্মীয় সাইদুরের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিল। সাইদুর পাওনা টাকার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে রুবিনা ও তার স্বামী -রাসেল এই অভিনব নাটক রচনা করে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কথিত অপহৃত ভিকটিম কে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।এবিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান।উদ্ধারকৃত রহিমা খাতুন এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।