আক্রান্তদের চিকিৎসা তদারকিতে উচ্চপদস্থ পরিদর্শন টিম গঠন

সারা দেশে নতুন করে আরও ১৯৮ পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় (১৫ মে সকাল পর্যন্ত) মাঠপর্যায়ে কর্মরত এসব পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হন। ঢাকাসহ সারা দেশে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও সংস্থায় পুলিশে আক্রান্তের সংখ্যা সব মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৪১ জনে। এদিকে আক্রান্তদের মধ্যে শুধু ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদস্যই রয়েছেন ১ হাজার ৪১ জন। এর আগের দিন বুধবার এ সংখ্যা ছিল ৯০৯ জন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যই বেশি। আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ও একজন সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পদমর্যাদার কর্মকর্তাও রয়েছেন।

পুলিশ সদর দফতরের তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনা পজিটিভ (কোভিড-১৯) পুলিশ সদস্যের সংখ্যা ২ হাজার ১৪১ জন। আক্রান্ত সন্দেহে আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ১৫২ জন ও আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসায় কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে তিন হাজার ৯১ জনকে। এ পর্যন্ত ৩৩৩ পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আর মারা গেছেন সাতজন।

পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার) করোনা আক্রান্ত সদস্যদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন এবং সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।

পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশনায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত কয়েকটি টিম সার্বক্ষণিক করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিচ্ছেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে তৎপর রয়েছেন। কমিটির সদস্যরা করোনা আক্রান্ত প্রতিটি পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা বলছেন এবং তাদের পরিবারের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজখবর নিচ্ছেন।

ডিএমপি সূত্র জানায়, করোনায় মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা ছাড়াও তাদের দু’জন অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) ও একজন সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পদমর্যাদার কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত ৯৬ পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যেন সেবা বা সুবিধা প্রাপ্তিতে কোনো বৈষম্য না থাকে, সে ব্যাপারেও কমিটিগুলো সজাগ দৃষ্টি রাখছে। ঢাকার রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে দেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের আক্রান্ত সদস্য, কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করছেন। এ ছাড়া আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের তেজগাঁওয়ের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বেসরকারি ইমপালস হাসপাতালেও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সূত্র-যুগান্তর