আজকের চারাগাছ অচিরেই মহীরুহুতে পরিণত হবে

অগণিত পাঠকের ভালবাসা নিয়ে স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে চলেছে ‘মেহেরপুর প্রতিদিন’। নিজ জেলা মেহেরপুরকে জয় করে পত্রিকাটি এখন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চারটি জেলায় অবস্খান করে নিয়েছে। সেদিন খুব বেশি দূরে নয় যেদিন পত্রিকাটি হবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সেরা পত্রিকা। সেই স্বপ্ন পূরণে একঝাঁক কর্মীর নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে স্বাধীনতার তীর্থ ভুমি মেহেরপুরে একমাত্র দৈনিক ‘মেহেরপুর প্রতিদিন’ সবসময় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে। মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রতিটি সংবাদ এলাকার উন্নয়নে, জনগণের কল্যানের কথা চিন্তা করে প্রকাশ করা হয়। সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে আমাদের কর্মীরা কখনো রক্তচক্ষুকে ভয় করে না। সাহস ও উদ্যামের সহিত সমস্যা ও সম্ভাবনার সংবাদ পরিবেশনে তৎপর রয়েছেন। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলার সাহসকিতা নিয়ে আমাদের সংবাদকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের সাহসী সংবাদকর্মীরা আমাদের শক্তি আর অগণিত পাঠক আমাদের প্রেরণার উৎস। এছাড়াও আমাদের কলাকুশলী, বিক্রয় প্রতিনিধিদের নিরলস প্রচেষ্টায় আমরা একটি স্বপ্নের বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে চলেছি।

পত্রিকা প্রিন্টিং ভার্সনের পাশাপাশি অনলাইন ভার্সনেও (https://www.meherpurpratidin.com/) আমরা ২৪ ঘন্টা আপডেট থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বাংলা ভাষাভাষি মানুষের কাছে সংবাদ পৌছে দিচ্ছি। অল্প দিনের যাত্রায় আমাদের অনলাইন এলেক্সা র‌্যাংকিং এক হাজারের ঘরে স্থান করে নিয়েছে। যা আমাদের জন্য ঈর্শর্ণীয় সাফল্য। প্রতিমাসে আমাদের অনলাইনের মাধ্যমে সংবাদ পড়েন প্রায় লক্ষাধিক পাঠক।

মেহেরপুর প্রতিদিন ২য় বছর পার করে ৩য় বছরে পদার্পন করেছে গত ২৬ মার্চ। বৈষ্ণিক করোনা মহামারী পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সকল কর্মসূচী স্থগিত করা হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মেহেরপুর প্রতিদিন এর সাফলা কামনা করে শুভেচ্ছা বাণী দিয়ে কৃতজ্ঞতার বাঁধনে আবদ্ধ করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্য মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনি, মেহেরপুর প্রতিদিন এর প্রকাশক এম এ এস ইমন।

পত্রিকাটির মানন্নোয়ন ও কলেবর বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর। যে প্রতিষ্ঠানি পত্রিকাটি কে মিডিয়াভুক্ত করে সরকারি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করার সুযোগ করে দিয়েছে। বিভিন্ন দিবসগুলোতে ক্রোড়পত্র প্রদান করে আমাদের চলার পথকে সহজ করেছে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি ও বিভিণ্ন প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ। যাদের বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে পত্রিকার আয়ের পথকে মসৃণ করতে পেরেছি।

দুই বছরের একটি চারা গাছ পরিচর্যার মাধ্যমে অচিরেই মহীরুহুতে পরিণত হবে। ঐতিহ্যবাহী মুজিবনগর খ্যাত মেহেরপুরে একটি নতুন ইতিহাস রচনা করবে এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

ইতিমধ্যে দুই বছরের চলার পথ কখনোই মসৃন ছিল না। আমরা যেমন পাঠকদের ভালবাসা পেয়েছি, একই সঙ্গে পেয়েছি সমালোচনা। প্রতিটি সমালোচনা আমাদের নতুন পথ সৃষ্টি করতে সহায়তা করেছে। সমালোচক পাঠকরাই আমাদের উন্নতির পথে অনন্যা ভূমিকা পালন করে আসছেন।

দুই বছরের সকল ব্যার্থতার দায় কাঁধে নিয়ে নতুন বছরে সফলতার পথে হাঁটতে চাই। সকল পাঠকের কাছে পৌছাতে চাই আনন্দের বার্তা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভক্ষণে সকলকে আবারো শুভেচ্ছা।

সবশেষে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি, ঘণ ঘণ সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করি। নিজে বাঁচি, অপরকে বাঁচায়। জয় হোক মাববতার, করোনা দূর হোক। পৃথিবীটা আবারো ভরে উঠুক আনন্দে।

 

ইয়াদুল মোমিন

সম্পাদক

মেহেরপুর প্রতিদিন