আরও ২২ কোভিড রোগীর মৃত্যু, আক্রান্ত ১৫৪১

এই সময়ে ১ হাজার ৫৪১ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।

এ নিয়ে দেশে মোট কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হলেন ৩৮ হাজার ২৯২ জন এবং মারা গেলেন ৫৪৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৪৬ জন এবং মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৯২৫ জন।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজার ৮৪৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগেরসহ মোট ৮ হাজার ১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

‘এর মধ্যে ১ হাজার ৫৪১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ২২ জন। এর মধ্যে ২০ জন
পুরুষ ও ২ জন নারী।’

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৪৬ জন এবং মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৯২৫ জন।

শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০.৭০ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১.৪২ শতাংশ।

ডা. নাসিমা আরও জানা, বয়স বিশ্লেষণে ০-১০ বছরের মধ্যে একজন, ২১-৩০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ৭ জন এবং ৭১-৮০ বছরের একজন মারা গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ১০ জন, চট্টগ্রামে ১০ জন ও সিলেটে ২ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে ২১ জন ও বাসায় একজন মারা গেছেন।

জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে ঢাকা জেলায় ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে একজন, নরসিংদীতে একজন, চট্টগ্রাম জেলায় ২ জন, নোয়াখালীতে ২ জন, কুমিল্লায় ২ জন, কক্সবাজারে একজন, চাঁদপুরে ২ জন, সিলেট জেলায় একজন ও মৌলভীবাজারে একজন মারা গেছেন।

প্রসঙ্গত গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগীশনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।

২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে কমিউনিটিট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।