
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা প্রতীক টাঙানোকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কুমারী ইউনিয়নের এক মহিলা ইউপি সদস্যসহ উভয় পক্ষের ১১ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে যুবদলের দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। আহতরা আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহত বিএনপি নেতাকর্মীরা হলেন পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম কনক, সদস্য সাজাহান, আলিম, কুমারী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তাইজেল হোসেন, ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য রোকসানা খাতুন ও তাঁর স্বামী রাশিদুল ইসলাম।
অন্যদিকে জামায়াতের আহতরা হলেন হারুনের ছেলে মুরাদ আলি, মাহাতাবের ছেলে আরিফ, পলাশের ছেলে লাল্টু, সাদেক আলির ছেলে ওল্টু এবং তার মেয়ে ফাতেমা খাতুন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শ্যামপুর গ্রামে জামায়াতের নেতাকর্মীরা দাঁড়িপাল্লা প্রতীক টাঙাতে গেলে বিএনপি নেতা রাশিদুল ইসলামের সঙ্গে তর্কাতর্কির সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ছড়িয়ে পড়ে। পরে আলমডাঙ্গা পৌর যুবদলের কর্মীরা জামায়াত নেতা ওল্টুর বাড়িতে হামলা চালায়। এরপর জামায়াতের নেতাকর্মীরাও পাল্টা হামলা চালালে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১১ জন গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রোকন অভিযোগ করে বলেন, জামায়াতের ব্যানারে যুবলীগের কিছু কর্মী আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এতে বিএনপির ৬ জন কর্মী আহত হয়েছে।
অপরদিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের আমির শফিউল আলম বকুল বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা টাঙাতে গেলে বিএনপির মহিলা ইউপি সদস্য রোকসানা ও তাঁর স্বামী বাধা দেন। পরে বিএনপির কর্মীরা আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা চালালে সংঘর্ষ ঘটে।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


