
আলমডাঙ্গায় জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বজলুর রশিদ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, আলমডাঙ্গা আসাননগর গ্রামের মৃত আওলাদ হোসেনের পুত্র বজলুর রশিদ থানায় অভিযোগ করেছেন যে, তার পিতার বৈধ সম্পত্তির উপর শতাধিক উর্দ্ধকাল যাবত তারা ৪ ভাই ও তিন বোন স্বত্ত্ব ভোগ দখল করে আসছে।
একক দখলভুক্ত জমির উপর বহু মূল্যবান মেহগনি গাছ, কাঠাল গাছ রোপন করিয়া তথায় বাগান তৈরী করিয়া রক্ষণাবেক্ষণে ও ফলাদি গ্রহনে-ভক্ষণে অভিযুক্তগণও সর্বসাধারনের জ্ঞাতসারে আমরা ভোগ দখলে করে আসছি। গত ২০ই জুন সকাল ১০.০০ টার সময় তপশীল বর্ণিত বাগানের জমি জবর দখলের উদ্যেশ্যে বেআইনী শক্তির মহড়া দেখিয়ে রামদা, কোদাল, কোড়াল, গাসুয়া ও লাঠিশোটা ইত্যাদি অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অনধিকার প্রবেশ করিলে আমি আমার নিজস্ব লোকজনসহ প্রতিহত করার চেষ্টা করি। অবৈধ দখলদাররা হলেন, একই গ্রামের অহিদুল মন্ডলের ছেলে নাজিবুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, এনামুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, চাঁদ আলী ও সিরাজুল ইসলামের ছেলে জায়েদুল ইসলাম, সৌরত ইসলাম, এবং নাজিবুল ইসলামের ছেলে নান্নু।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ আদালতে ৪৯৮/২০২৫ নং মামলা রুজু করেছে। আদালত তপশীল বর্ণিত জমিতে শান্তি-শৃংখলা রক্ষার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলমডাঙ্গার উপর দখলী প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ প্রদান করেন।
অতঃপর আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে সাময়িকভাবে অভিযুক্তগণকে তপশীল বর্ণিত জমিতে অনধিকার প্রবেশে বিরত থাকা নোটিশে অবগত করালেও অভিযুক্তগণ খানার নির্দেশ অমান্য করিয়া একর পর এক বসত বাড়ীর চারিপাশসহ তপশীল জমি জোর পূর্বক দখল করার জন্য অকথ্য তথা বিশ্রি ভাষায় গালি গালাজ, আমার জান মালের ক্ষতির সর্ব রকম প্রচেষ্টা চালায়। অভিযুক্তদের দ্বারা সার্বক্ষনিক অতংকিত ও ভীত সন্ত্রস্থ অবস্থায় থাকে বলিয়া তিনি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানাকে বারংবার বজলুর রশিদ ও তার বড় ভাই মোঃ লিয়াকত আলী বলা সত্ত্বেও, অজ্ঞাত শক্তি ইশারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেন নাই। কিংবা আদালতের আদেশে পুলিশী হস্তক্ষেপ অবমাননার কারণে তাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ অতিঃ ম্যাজিঃ আদালতে কিংবা জুডিশিয়াল আদালতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেন নাই। তপশীল জমির সহকারী কমিশনার ভূমির দখলী প্রতিবেদন তাদের অনুকুলে আছে বলে জানান। তিনি ও তার পরিবারবর্গ পুলিশী সার্বিক সহযোগীতা চেয়েছেন।