
প্রথম বিয়ে টিকেছিল মাত্র দু’দিন। বিচ্ছেদের শোক কাটিয়ে ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ১৭ বছর বয়সি তরুণী মীম আক্তার। সেখানেও সংসার করা হলো না তার। বিয়ের চারদিন পর স্বামীর বাড়ি থেকে বেড়াতে আসেন বাবার বাড়ি। তবে মেহেদির রং শুকানোর আগেই খুঁজে নেন আত্মহননের পথ। বিয়ের মাত্র আটদিনের মাথায় বিষপানে আত্মহত্যা করেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের বেগুয়ারখাল গ্রামে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে নিজের বাবার বাড়িতে বিষপানে ওই নববধূ মৃত্যু হয়।
নিহত নববধূ বেগুয়ারখাল গ্রামের উমিদ আলীর মেয়ে।
নিহত মীম আক্তারের ভাই সাব্বির হোসেন জানায়, গত ৮ দিন আগে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বলিয়ারপুর গ্রামে আব্দুর রশিদের ছেলে সাকিবের সাথে বিয়ে হয় মীমের। আর চারদিন আগে স্বামীসহ আমাদের বাড়িতে আসে সে। বাড়িতে এসে স্বামীর সাথে হাসিখুশি ভাবেই ছিল। কী কারণে বিষ খেয়েছে তা আমরা কেউ জানি না।
মীমের স্বামীর ভাই সাইফুল জানান, মীমের আগে অন্য একজায়গায় বিয়ে হয়েছিল। সেটা জেনেই তার ভাইয়ের সাথে বিয়ে দেন তারা। বিয়ের পর তারা হাসিখুশিভাবেই চলাফেরা করছিল। মীমের ব্যবহারে কোনো কিছু মনে হয়নি। গত ৪ দিন আগে মীম তার পিতার বাড়িতে এসেছে। কী কারণে বিষপান করেছে সে বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।
নিহতের মা রত্না খাতুন বলেন, মেয়ের একটু মানসিক সমস্যা ছিল। আগেও একবার বিয়ে দিয়েছিলাম, তখনও দুইদিনের মধ্যেই তালাক হয়। এবারও কোনো ঝামেলা ছিল না। আমার ছেলে মীমের স্বামী সাকিবকে নিয়ে মার্কেটে গিয়েছিল। বাড়িতে মীম একাই ছিল। কখন যে মীম বিষপান করেছে কেউ জানেনা।
তিনি আরও বলেন, সে বিষপান করেছে জানতে পেরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মারা যায় মীম।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান পিপিএম বলেন, রাত ১২টার দিকে খবর পেয়ে ওসমানপুর পুলিশ ক্যাম্পের এসআই আলমগীর হোসেনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।


