আলমডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আলমডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টার সময় রুইতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার সেলুন।
এ সময় সম্মেলনের প্রধান অতিথি বলেন দির্ঘ ১৮ বছর আগে এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কমিটি গঠিত হলেও পরবর্তিতে আর কমিটি গঠন হয়নি, ওই সময় থেকে যারা আওয়ামী লীগের নেতৃতিতে দিয়ে আসছিল তারা যুবলীগের নামধারি কিছু নেতার পকেটে থেকে রাজনীতি করতো, যুবলীগের ঐই সকল ষড়যন্ত্র কারিদের চিহ্নিত করে, ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব বজায় রাখতে বলে সকল ধরনের ষড়যন্ত্র পতিহত করে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে দলকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।
তৃণমুল পর্যায় থেকে দলকে সুসংগঠিত করে জননেত্রি শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতেই সম্মেলন করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশকে এগিয়ে নিয়েছে। তিনি ক্ষমতায় এসে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসাবে রুপান্তর করেছে, পৃথিবীর উন্নয়নশীল দেশগুলো এখন বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে দেখছে। দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত দেশ হিসাবে গড়ে তুলেছে।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে মাননিয় প্রধানমন্ত্রি রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। পদ্মসেতু, মেট্রো রেল ফ্লাইওভারের মত বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় সহ রাস্তাঘাট নির্মান করে চলেছে।
তাই আওয়ামী লীগের প্রতি আস্তা ও বিশ্বাস রেখে দলকে সুসংগঠিত করে দেশের উন্নয়ন অব্যহত রাখতে হবে। সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিতকায় এক শ্রেণীর নামধারি আওয়ামী লীগনেতা ও কিছু আওয়ামী লীগের সহযোগি সংগঠন দলকে দ্বিখন্ডিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে, দেশের বা জেলার উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে এ সব ঘাপটি মেরে থাকা নামধারি নেতাদের চিহ্নিত করে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে হবে।
এসময় তিনি বিএনপিনেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, একুশে আগষ্ঠ গ্রেনেড হামলা চালিয়ে মাননিয় প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা সহ কেন্দ্রিয় নেতাদের হত্যা করতে চেয়েছে ছিল, আল্লাহ অশেষ মেহেবানিতে তিনি অলৈকিক ভাবে বেঁচে গেলেও আমাদের কেন্দ্রিয় অনেক প্রাণপ্রিয়নেতা মারাযান। বিএনপির আমলে মানুষ রাত্রে ঘুমাতে পারতোনা, খুন, গুম, চাঁদাবাজি, টেন্টারবাজি সহ সরকারি টাকা লুট করে দেশকে এক অরাজগতা সৃষ্টি করেছিল। ঘরেঘরে বিদ্যুৎ ছিলনা, যা ছিল তাও বিদ্যুৎ যাওয়ার সময় ছিল কখন আসবে কেউ জানতোনা, কৃষককে লাইনে দাঁড়িয়ে সার, তেল নিতে হত। এখন ঘরেঘরে বিদ্যুৎ পৌছে গেছে, কাউকে বিদ্যুৎতের জন্য অপেক্ষা করতে হয়না, কৃষককে লাইনে দাঁড়াতে হয়ন সার তেলের জন্য।
ছেলুন জোয়ার্দ্দার এমপি আরো বলেন বঙ্গবন্ধ দেশটাকে সোনার বাংলায় রুপান্তিত করতে চেয়েছিল। আল্লাহ সেই সপ্ন এই বাংলার মাটিতে বাস্তবায়ন করবেন বলে হয়তো তারই সুযোগ্য কন্য প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে আজ বাংলাদেশকে সার্বিক উন্নয়ন করে সোনার বাংলায় রুপান্তরিত হতে চলেছে।
সম্মেলনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি লিহাজ উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্ভোধনি বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খুস্তার জামিল, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সামসুজ্জোহা, সাংঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, লিটু বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য দেলোয়ার হোসেন, এ্যাড বেলাল হোসেন, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আফজালুল হক বিশ্বাস, সাবেক জেলা যুবলীগের আহবায়ক আরেফিন আলম রন্জু, আব্দুল কাদের।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্ঠার, মহাসিন আলী, আওয়ামী লীগনেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান নান্টু, তোহিদুল ইসলাম ফকা, দেলোয়ার হোসেন দিপু, মহিবুল হক মন্টু, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রুবাইত বিন সুস্তির, কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক তামিম হাসান তারেক । অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগনেতা ইউনুস আলী মাষ্ঠার।
সম্মেলনের আলোচনা শেষে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদির গনুর সভাপতিত্বে আলমডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শাহ্ আব্দুল বাতেনকে সভাপতি, মোজাম্মেল হককে সাধারন সম্পাদক ও খাইরুল ইসলামকে যুগ্ন সাধারন সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়।

আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি