আলমডাঙ্গায় নতুন ব্রীজ নির্মানের দাবী এলাকাবাসীর
আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারি ইউনিয়নের হাড়গাড়ী গ্রামের পাশে কুষ্টিয়া মীরপুর উপজেলার বাজিতপুর-আলমডাঙ্গা ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ায় জনজীবন হুমকির মুখে পড়েছে। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
জানাগেছে, কুষ্টিয়া জেলার মীরপুর উপজেলার শেষ শীমান্ত সুকচা-বাজিতপুর গ্রাম সহ প্রায় ১০/১৫ টি গ্রামের মানুষ এই ব্রীজ দিয়ে পারাপার করে থাকে।
তাদের চলাচলের একমাত্র ব্রীজটি বর্তমানে হুমকির মুখে। ঐ অঞ্চলের মানুষের উৎপাদিত ফসল আলমডাঙ্গা বাজারে বিক্রয় করে কৃষকবৃন্দ।
ঐ সব গ্রামের ছেলে,মেয়েরা লেখাপড়া করতে আলমডাঙ্গা বাজারের বালিকা বিদ্যালয়, সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া করছে। এর কারন জানতে চাইলে, বাজিতপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ আলী,বীর মুক্তিযোদ্ধা রঞ্জেত আলী মিস্ত্রী,হাড়গাড়ির সোহাগ আলী,মাহবুবুল মেম্বার বলেন, আমাদের সুকচা, বাজিতপুর গ্রাম থেকে মীরপুর অথবা আমলা সদরপুর প্রায় ১০ কিলোমিটার দুরে। যে কারনে তারা আলমডাঙ্গা মুখি হতে বাধ্য হয়। সরেজমিন ঘুরে জানাগেছে, ব্রীজটি এলজিইডি কতৃক নির্মিত হয়েছিল। তখন শুধু মাত্র মানুষ চলাচল করার উপযোগী করে ব্রীজটি নির্মান করা হয়।বর্তমানে ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ায় এলকাবাসি ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের একজন উপ-সহকারি প্রকৌশলী বলেন, প্রায় ২০/২৫ বছর আগে ব্রীজটি মানুষ চলাচলের উপযোগী করে বানানো হলেও অত্র অঞ্চলের মানুষ তাদের উৎপাদিত ফসল আলমডাঙ্গা বাজারে বিক্রয় করে থাকে। যে কারনে ব্রীজটি অল্প সময়ে ১০/১৫ বছরের মধ্যে ভাংতে ভাংতে বর্তমানে প্রায় অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েছে।
এলাকাবাসি জানান, নতুন করে ব্রীজটি চওড়া করে নির্মান করা হলে গাড়ী ও মানুষ চলাচলের জন্য ফুটপাত তৈরী করা হলে আলমডাঙ্গার ও মীরপুরের মধ্যে নতুন সংযোগ স্থাপনে নতুন দীগন্তের সুচনা হবে।
এলাকার ছেলে মেয়েদের শিক্ষা ও বাজার হাট করাসহ ফসল বিক্রয়সহ আলমডাঙ্গার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। সব কিছুতেই প্রান ফিরে পাবে। ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সুকচা বাজিতপুরের মানুষের সাহসী ভুমিকার জন্য মানুষ আজও স্বরন করে।
তৎকালীন সময়ের ১৯৭১ সালের ১৩ আগষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার জামসেদ নুরী টগর সুকচা বাজিতপুর ব্রীজের কাছে পাক সেনাদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হয়েছিল।
এলাকাবাসির দাবী অতি দ্রুত ব্রীজটি নির্মান করে অত্র অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ নিস্পাত হবে। এই ব্রীজটি নতুন করে নির্মান করার বিষয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্শন করেছে এলাকাবাসি।