আলমডাঙ্গায় পূর্বাশা পরিবহনের সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে গরু বিক্রয়ের টাকা ছিনতাই এর অভিযোগ

গরু বিক্রি করে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে পূর্বাশা পরিবহনের এসি বাসে টাকা ছিনতাই এর অভিযোগ উঠেছে সুপার ভাইজার নাজমুলের বিরুদ্ধে। গতকাল রবিবার এ ঘটনাটি ঘটেছে।

ছিনতাই এর কবলে পড়া আলমডাঙ্গা বেলগাছি গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আলাউদ্দিন( ৩২) বাকের আলির ছেলে মান্নান (৬৫) তার ছেলে নফর (৩৩)।

জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি মালিথাপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আলাউদ্দিন (৩২), বাকের আলির ছেলে মান্নান(৬৫) ও তার ছেলে নফর (৩৩)। গত বৃহস্পতিবার ২ টি গরু নিয়ে ঢাকায় পাড়ি জমায়।

রবিবার সকালে ২টি গরু তারা ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকায় বিক্রয় করে। গরু বিক্রয় করে আলমডাঙ্গার উদ্দেশ্যে আসার জন্য গাবতলি বাসস্টান্ডে যায়। তারা, চুয়াডাঙ্গা পর্যন্ত আসার জন্য পূর্বাশার এসি বাসের ৩টি টিকিট ক্রয় করে। গাবতলি থেকে ছেড়ে আসার মুহুর্তে তারা পূর্বে তারা সুস্থ থাকলেও গাড়ির মধ্যে ঢুকে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

পরবর্তীতে তাদের বাসটি মধুখালি পৌঁছালে আলাউদ্দিন ও নফরের নিকট সেপ্টি প্যান্টের মধ্য দিয়ে ২ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা ছিনতাই হয়ে যায়। ছিনতাই এর অভিযোগ তোলেন পূর্বাশা পরিবহনের সুপার ভাইজার নাজমুলের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে আলাউদ্দিন জানান, আমরা গরু বিক্রয় করে ৩ জনের নিকট ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা ছিলো। গাড়িতে ওঠার সময় আমরা স্বাভাবিক ভাবে বসে ছিলাম।ক্লান্ত শরীরে এসির বাতাসে কখন অজ্ঞান হয়ে পড়েছি বাসের মধ্যে ঠিক পায়নি। যখন মধুখালি থেকে সুপার ভাইজার ডাকলেন হালকা চেতনা হয়ে পকেটে হাত দিয়ে দেখি টাকা নেই। তবে, অচেতন হওয়ার পূর্বে সুপার ভাইজার ২ বার তার নিকট আসে বলে জানান। এছাড়াও, সুপার ভাইজার নিজেই তাদের টাকা ছিনতাই করেছে বলে অভিযোগ করেন।

পূর্বাশা পরিবহনের সুপার ভাইজার নাজমুল বলেন, ৩০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার গাবতলি থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। গাড়ি ছাড়া ২০/৩০ মিনিট পরপর আমরা যাত্রী সার্ভিস করি। এর মধ্যে আমি কিংবা অন্য কেউ এমনটা করবে কখনো মানতে পারি না।