আলমডাঙ্গায় প্রবাসীর স্ত্রী আত্মহত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা তুলে নিতে প্রাণ নাশের হুমকি

আলমডাঙ্গার কামালপুর গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী আত্মহত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা তুলে নিতে বাদীকে অব্যাহত ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এদিকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা মামলার ৮ আসামীর কেউই গ্রেফতার হয়নি।

ফলে চরম আতঙ্কে রয়েছে বাদীপক্ষের লোকজন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আলমডাঙ্গার কামালপুর গ্রামের নাজমুল ইসলাম গত প্রায় ৫ মাস পূর্বে সৌদি আরব গেলে তার স্ত্রী সোনিয়া খাতুন ৫ বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন।

স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে সোনিয়া খাতুনের উপর কু-নজর পড়ে কামালপুর গ্রামের মঙ্গল আলীর ছেলে আঠারোখাদা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাকিল হোসেন (৪৫)’র। শাকিল হোসেন ওই গৃহবধূকে নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।

তার স্বামী বিদেশ চলে যাওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশি ছোট ভাইয়ের বউ সোনিয়া খাতুনের সাথে শাকিল হোসেন পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

বিষয়টি জানাজানি হল গত এক মাস আগে সোনিয়া খাতুন শিক্ষক শাকিল হোসেনের সাথে সম্পর্কের ইতি টানে। বন্ধ করে দেয় শাকিল হোসেনের সাথে যোগাযোগ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাকিল হোসেন তার সাথে সোনিয়ার পরকীয়া সম্পর্ক আছে বলে গ্রামে প্রচার শুরু করে । প

রে শাকিলের সাথে একই গ্রামের মৃত খবিরের ছেলে বয়স্ক কলিম উদ্দীন, ফনির ছেলে দোকানি রনি, আবুল কাশেমের ছেলে উজ্জ্বলও সোনিয়া খাতুনকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে ।

এ সব কথা শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে বললেও তারা কোন পদক্ষেপ নেননি। বরং মেয়ের শ্বশুর সিরাজুল,শাশুড়ি ছায়েরা খাতুন ও মেয়ের জা মুক্তা খাতুন এসব কথা নিয়ে সোনিয়াকে ভৎসনা করতে থাকে।

এরই এক পর্যায়ে ২৫ ফেব্রয়ারি ভোরে ঘরের আড়াই গলায় ওড়নায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সোনিয়া। এ আত্মহত্যার পর পর অভিযুক্ত শিক্ষক শাকিলসহ উক্ত ৬ ব্যক্তিই নিরুদ্দেশ রয়েছেন। এদের সকলকেসহ শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম ও শ্বাশুড়ি ছায়েরা খাতুন ও জা মুক্তা খাতুনকেও আসামি করা হয়েছে।

এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাকিল হোসেন বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। ৭/৮ বছর পূর্বে শেফালী খাতুন নামের পাঁচলিয়া গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন। শেফালী খাতুনও শিক্ষক। তারা স্বামী-স্ত্রী আঠারখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী করেন।

এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকেই অভিযুক্ত ৮ আসামী আড়ালে আবডালে থেকে তাদের লোকজন দিয়ে বাদীকে মামলা তুলে নিতে অব্যাহত ভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। বাদীপক্ষের অসহায় মানুষগুলো আসামীদের গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের নিকট আবেদন জানিয়েছেন।