আলমডাঙ্গায় প্রেমের প্রস্তাব না মানায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ

আলমডাঙ্গার ফরিদপুর জোরপূর্বক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার রাতে ওই স্কুল ছাত্রীকে পূর্ণরায় তার নিজ ঘরে ঢুকে আবারো ধর্ষণের ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার স্কুলছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করে। ধর্ষক আশরাফুল হক নয়ন (২৮) নওদাবন্ডবিল গ্রামের আনজের আলির ছেলে। জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের আশরাফুল হকের মেয়ে এম সবেদ আলি স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। বর্তমানে করোনাকালিন সময়ে স্কুল বন্ধ। স্কুল খোলা থাকাকালীন সময়ে কুমারি ইউনিয়নের নওদাবন্ডবিল গ্রামের আনজের আলির ছেলে আশরাফুল হক নয়ন। স্কুল ছাত্রী এম সবেদ আলি স্কুলে যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময় তাকে উত্যক্ত করতো।

এছাড়া স্কুল ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন করলে সে রাজি না হলে তাকে তুলে নিয়ে যাবার হুমকি প্রদান করতো। এ ঘটনাটি স্কুল ছাত্রী তার পরিবারের লোকজনকে জানায়। স্কুল ছাত্রীর বাবা ওই ছেলেকে তার মেয়েকে বিরক্ত করতে নিষেধ করলেও সে কোন কথা মানে না। গত ৩ জুন স্কুল ছাত্রী ভ্যান যোগে ডামোশ গ্রামে আত্নীয়র বাড়িতে যাচ্ছিলো। এসময় স্কুল ছাত্রী এরশাদপুর ব্রিজের নিকট পৌছালে প্রেমিক আশরাফুল হক নয়ন ওই গাড়ি গতিরোধ করে।

জোরপূর্বক মোটরসাইকেল তুলে পৌর এলাকার আনন্দধামের সোহেলের বাড়িতে আটকে রাখে। তাকে বিভিন্ন সময় একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। গত ৭জুন সোমবার রাত ৮ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রী আনন্দধামের সোহেলের বাড়ি থেকে পালিয়ে ফরিদপুর তার বাবার বাড়ি চলে আসে। এছাড়াও, স্কুলছাত্রীর পিছু নিয়ে গত ৭জুন সোমবার রাতে কৌশলে ওই স্কুল ছাত্রীর শোবার ঘরে আবারো জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। স্কুল ছাত্রী চিৎকার দিলে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে আশরাফুল হক নয়ন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।