আলমডাঙ্গায় লকডাউনের নির্দেশনা ভঙ্গ করে ব্যবসায়ীদের বিক্ষো

সরকারি নির্দেশনা ভঙ্গ করে আলমডাঙ্গা শহরে লকডাউনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
গতকাল সোমবার সকাল ১১ টার দিকে ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। পরে ব্যবসায়ীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে আলমডাঙ্গা গার্মেন্টস পট্টি থেকে বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবারো একই স্থানে জমায়াত করে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
এদিকে, বিক্ষোভের খবর শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল ও আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমঙ্গীর কবির দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় উত্তেজিত ব্যবসায়ীদের তোপের সম্মূখিন হয়।
উত্তেজিত দোকান মালিক ও কর্মচারিরা দোকান খুলে ব্যবসা করতে দিতে হবে বলে কঠোর দাবি জানায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তা প্রতিহত করে সরকারি নির্দেশনা পালন করে দোকান বন্ধ রাখতে অনুরোধ করেন।
বিক্ষোভের ঘটনায় আলমডাঙ্গা বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বিক্ষোভে অংশ গ্রহণকারীরা হলো আলমডাঙ্গা গার্মেন্টস মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম রহমান সিঞ্জুল, সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের সদস্য আবু মুছা, সৈয়দ সাজেদুল হক মনি, হাজী আব্দুল খালেক, বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন সহ প্রায় ২শত ব্যবসায়ী ও কর্মচারিরা অংশ গ্রহন করে।
ব্যবসায়ী গোলাম রহমান সিঞ্জুল বলেন, আমরা চাই লকডাউনে যেহেতু অফিস-আদালতসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে, সেক্ষেত্রে আমাদেরও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দোকানপাট খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হোক।
লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হই আমরা ব্যবসায়ীরা। আমরা কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা পাইনি। এজন্য আমাদের দাবি নির্দিষ্ট সময় দোকানপাট খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হোক।
তিনি আরো বলেন, সরকার ঘোষিত লকডাউনের এই এক সপ্তাহ আমরা আগে দেখব। তারপর না হয়, অবস্থা বুঝে আমরা বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবো।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমঙ্গীর কবির জানান, লকডাউনের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ মিছিলটির মূল উদ্যোগ নিয়েছে আলমডাঙ্গার গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা।
আমি তাদের বলেছি, সরকারের দেওয়া নির্দেশনা কখনো বিক্ষোভ করে অমান্য করা যাবে না। আপনাদের যদি কোনো দাবি থাকে সেজন্য আপনারা জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করতে পারেন। ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল বলেন, করোনা সংক্রমণরোধে লকডাউন সরকারি সিদ্ধান্ত এবং এটি সারা দেশের জন্যই। আলমডাঙ্গার জন্য আলাদা কোন সিদ্ধান্ত নেই।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ী ও তাদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। সরকারি নির্দেশনা তাদের মেনে চলার অনুরোধ করেছি। তা না হলে আমাদের আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।