আলমডাঙ্গায় শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম

মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের জের ধরে আলমডাঙ্গা শহরের এক আসবাবপত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, ব্যবসায়ী ও কর্মচারীকে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার শ্যামল কুমার সাহার ছেলে সুবিন্দর সাহা ওরফে মিঠুন ওরফে বিন্দু চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। নিজ এলাকায় টিকতে না পেরে কয়েক বছর আগে সুবিন্দর ওরফে মিঠুন ওরফে বিন্দু আলমডাঙ্গা শহরে বসবাস শুরু করে। আলমডাঙ্গা শহরে অবস্থানের পাশাপাশি মাদক ব্যবসা করার অভিযোগ রয়েছে। একাধিক বার পুলিশের হাতে মাদকসহ গ্রেফতার হয়েছে। গত রবিবার রাতে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তাকে ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

এদিকে, সুবিন্দরের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে কুরুক্ষেত্র। মাদক ব্যবসায়ী সুবিন্দর বর্তমানে আলমডাঙ্গার টকিজ হল পাড়ায় বাদল মজুমদারের ঘর ভাড়া নিয়ে ফার্নিচারের ব্যবসা করছে। ফার্নিচারের ব্যবসার আড়ালে মাদকব্যবসা করার অভিযোগ রয়েছে।

গত রবিবার রাতে সুবিন্দরের গ্রেফতারের পর বাদল মজুমদার পুরাতন বাজারে অবস্থিত বেস্ট ফার্নিচারের মালিক আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন যে আব্দুল্লাহ ব্যবসায়ীক কারণে সুবিন্দরকে গ্রেফতার করিয়েছে।

এ নিয়ে ২ মার্চ রাতে আব্দুল্লাহ ও তার কর্মচারীদের সাথে বাদল মজুমদারের হাতাহাতি হয়। ওই ঘটনার জের ধরে পরদিন ৩ মার্চ বেলা ১১ টার দিকে বাদল মজুমদার ও তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে উৎসের নেতৃত্বে কতিপয় যুবক বেস্ট ফার্ণিচারে ২ দফা হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।

বেস্ট ফার্নিচারের মালিক আব্দুল্লাহ ও তার কর্মচারি সোহেল ও আল আমিনকে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে। কুষ্টিয়া থেকে মাস্তান ভাড়া করে নিয়ে গিয়ে ওই হামলা করা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

সে সময় হামলাকারিরা দোকানের ড্রয়ার ভেঙ্গে সোয়া ২ লাখ টাকা নিয়ে গেছে বলে দাবি করা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে সোহেলের অবস্থা গুরুতর। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মেপ্র/আরপি