আলমডাঙ্গায় সরকারি জিকে ক্যানেলের পাড় কেটে ভাটায় মাটি বিক্রয়ের অভিযোগ

আলমডাঙ্গার আরএনবি ভাটার মালিকের বিরুদ্ধের সরকারি জিকে ক্যানেলের পাশ থেকে মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে। বেলগাছি গলাই দড়ি মাঠের মধ্যে সরকারি জিকে ক্যানেলের পাশ থেকে মাটি কেটে ট্রাক্টরে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর কারণে মাঠের সেচ কাজে ব্যবহৃত পাশ ক্যানেল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও সদ্য নির্মিত কালভার্ট ভেঙে পড়েছে।

জানাগেছে, আলমডাঙ্গার উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের গলাই দড়ি মাঠের মধ্যে রবিউল ইসলামের জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে। পুকুর খননের নামে বেলগাছি গ্রামের শাহিনের যোগসাজসে মাটি তুলে ফরিদপুর গ্রামের আরএনবি ভাটায় বিক্রয় করা হচ্ছে।

মাটি কেটে বিক্রয়ের ফলে আলমডাঙ্গার উপজেলার বৃহৎতম সেচ প্রকল্পের আওতাধীন জিকে ক্যানেলের পাশ ক্যানেলের পাড় ধ্বসে পড়ছে। এ কারণে শত শত কৃষকের ধানের ক্ষেতে পানি দেওয়ার বিড়ম্বনার শিকার হওয়ার সম্মুখিন হচ্ছে। এছাড়াও, ট্রাক্টর যাতায়াতের কারণে পাশ ক্যানেলে সদ্য নির্মিত কালভার্ট ও গাইড ওয়াল ভেঙ্গে পড়েছে।

এদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলে- গত কয়েক দিন ধরে আলমডাঙ্গার বেলগাছি গলাই দড়ি মাঠ থেকে আরএনবি ভাটার মালিকেরা প্রতিদিন ১০/১৫ টি ট্রাক্টর যোগে মাটি বহন করছে। এ মাটি বহন কারি গাড়ির কবলে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হওয়ার পাশাপাশি জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে।

ট্রাক্টর গাড়িতে বহনকৃত কাদা মাটি রাস্তায় পড়ায় ঝুকিতে চলছে গাড়ি। ধুলোর শহরে পরিণত হচ্ছে রাস্তা ঘাট।

ডামোশ গ্রামের তারেক, সিদ্দিক, আফজাল, শরিফ, সুমন, বলেন-রাজনৈতিক ক্ষমতার বলে দীর্ঘদিন যাবৎ এভাবে ট্রাক্টর, গাড়ি বেলগাছি ইউনিয়নের ডামোশ, কাশিপুর, কেদারনগর, বেলগাছি, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের নিচু মাঠ থেকে পুকুর খননের নামে হাজার হাজার গাড়ি মাটি সংগ্রহ করে। কেউ কিছু বলতে গেলে ক্ষমতার প্রভাব খাটায় ভাটা মালিকেরা।

ফরিদপুর গ্রামের হেলাল, সাফায়েত, আজগার, মফিজ, হিমেল, জানান-আরএনবিসহ আরেকটি ভাটা ফরিদপুর গ্রামের প্রধান সড়কের পাশেই অবস্থিত। এ ভাটা এলাকায় কয়েক শতাধীক বসত বাড়ি, দোকান, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত। এ ভাটার গাড়ির কবলে পড়ে অনেক স্কুল ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। গাড়ির মাটি রাস্তায় পড়ায় তীব্র ধুলায় পরিণত হয়। রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে অযোগ্য হয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় এলাকাবাসী ভাটার বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা মুখ খুলছে না। দীর্ঘদিনের এ ভোগান্তিতে পড়তে হচ্চে তাদের।

এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি হুমায়ন কবির বলেন- আমি তো নিজের উদ্যোগে কিছু করতে পারবো না। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দিলে তার নির্দেশে ব্যবস্থা নিতে পারবো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলি বলেন-আমি সরেজমিন তদন্তপূর্বক খোঁজ খবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।