আলমডাঙ্গায় সিমান্ত এক্সপ্রেসের যাত্রা বিরতি ! আলমডাঙ্গাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ

আলমডাঙ্গায় সিমান্ত এক্সপ্রেসের যাত্রা বিরতি। যার মাধ্যমে আলমডাঙ্গাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলো। আলমডাঙ্গা এলাকাবাসীর দাবীর মুখে গত ৯ জুন সীমান্ত এক্সপ্রেস আলমডাঙ্গায় যাত্রা বিরতি হলো।

গত ৯ জুন রাত ১২.১০ মিনিটে সিমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন আলমডাঙ্গায় যাত্রা বিরতি করলে ট্রেনের গ্রার্ড, ড্রাইভর, এটেন্ডদের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন আলমডাঙ্গা পৌর সভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাসান কাদির গনু।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পৌর সভার ১নং- প্যানেল মেয়র খন্দকার মজিবুল হক, ২নং-প্যানেল মেয়র জহুরুল হক স্বপন, সহকারি স্টেশন মাষ্টার নাজমুল হোসেন, সহকারি স্টেশন মাষ্টার তৌহিদুল ইসলাম,বনিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন,সম্পাদক কামাল হোসেন, প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক খ, হামিদুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা মুক্তমনা কল্যান ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদক ডাঃ মোঃ মহসিনুজ্জমান,সাংগাঠনিক সম্পাদক বসিরুল আলম,৩নং প্যানেল মেয়র মনোয়ারা খাতুন, কাউন্সিলর ডালিম হোসেন, এস এম বাবু, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সিরাজুল ইসলাম, জেলা মৎস জীবীলীগের আহবায়ক শাহাবুল হক,বনিক সমিতির ক্যাসিয়ার ও মুদি ব্যবসায়ি সমিতির সম্পাদক আলাউদ্দিন, কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম,বাপ্পিসহ পৌর সভার কর্মকর্তা, কর্মচারি বৃন্দ ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনের অপারেটাল কার্যক্রম বন্ধ হলে আলমডাঙ্গা বাসির ব্যাপক আন্দোলনের মুখে পুনঃরায় অপারেটাল কার্যক্রম চালু সহ অস্থায়ী ভিত্তিতে কয়েকজন লোকবল দিয়ে স্টেশনের কাজ চালু হয়। পরে সিমান্ত এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস স্টপেজের দাবিতে আন্দোলন করতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে গত ৯ জুন রাত ১২ টা ১০ মিনিটে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সিমান্ত এক্সপ্রেস আলমডাঙ্গায় যাত্রাবিরতি দেয়।জানা যায়, ভারতের হাওড়া থেকে কুষ্টিয়ার জগতি অবধি উপমহাদেশের প্রথম রেললাইন স্থাপিত হয় ১৮৬২ সালে।

আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন দেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম রেলস্টেশনগুলির একটা। তাছাড়া উপমহাদেশের একমাত্র দোতলা স্টেশন। আলমডাঙ্গা উপজেলাসহ আশপাশের মিরপুর, কুষ্টিয়ার ইবি থানা, গাংনী উপজেলা ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার মানুষ ঐতিহ্যবাহী আলমডাঙ্গা স্টেশন ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। জনপ্রিয় আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেসটির আলমডাঙ্গায় যাত্রা বিরতির দাবি দীর্ঘদিনের। আলমডাঙ্গার মানুষ দীর্ঘ বছর ধরে এ দাবিতে সোচ্চার ছিল। এলাকাবাসির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রাদান করা হয়েছে এ দাবির সমর্থনে।

এ দাবি বাস্তবায়নে একাধিবার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে।এরই মধ্যে গত ৭ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজশাহী অফিসের চিফ অপারেটিং সুপারেন্টেন্ডেন্ট (পশ্চিম) আলমডাঙ্গা স্টেশনে আন্তনগর সীমান্ত এক্সপ্রেসের যাত্রা বিরতির ঘোষণা সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

রাজশাহী রেলওয়ের (পি) (পশ্চিম)’র সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারেন্টেন্ডেন্ট আব্দুল আওয়াল স্বাক্ষরিতে ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ৯ জুন থেকে খুলনা –চিলাহাটি-খুলনা রুটে চলাচলকারি আন্তনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস আলমডাঙ্গায় যাত্রা বিরতি প্রদান করা হল। খুলনার উদ্দেশ্যে চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি আলমডাঙ্গায় যাত্রা বিরতি করবে ১টা ৬ মিনিটে।

খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামি সীমান্ত এক্সপ্রেস আলমডাঙ্গা স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে রাত ১২টা ১১ মিনিটে। চিলাহাটি থেকে খুলনা রুটে নতুন করে চলাচলের জন্য লক্কড় ঝক্কড় সীমান্ত এক্সপ্রেসটির কোচগুলি পরিবর্তন করা হয়েছে।এ ট্রেনের সাধারণ কোচগুলি পরিবর্তন করে ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা সাদা রঙের কোচ সংযোজন করা হচ্ছে।

১২টি কোচ নিয়ে ওই ট্রেন বহর চলবে এ রুটে। ট্রেন দুটিতে রাত্রিকালীন আসন সংখ্যা ৮৬৫ ও দিনে ৮৯০টি। তার মধ্যে রাতে তাপানুকুল ২৩টি শয়নাসন ( বাথ) ও ৮০টি চেয়ার রয়েছে।