
আলমডাঙ্গার পৌর ভূমি কর্মকর্তা রেজাউল হকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণ ও ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বেলগাছি এলাকার ভুক্তভোগী মিঠু আলী। এ ঘটনায় তিনি সোমবার রাতে স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে লিখিত অভিযোগ করেন।
মিঠু আলী জানান, বেলগাছি মৌজার আরএস খতিয়ান নং ১০৪৪ ও খারিজ খতিয়ান নং ২৫–৭৭১৯–সহ একাধিক দাগে মোট ৩.৫২ একর জমি তাঁদের পারিবারিক সরিকানা অংশ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখলে রয়েছে। এই জমির ওয়ারিশসূত্রে তাঁরা আটজন অংশীদার।
তিনি আরও বলেন, আরএস ১০৪৪ নং খতিয়ানে মৃত কুবের মন্ডলের ছেলে ওমর আলী ও ঝুমর আলীর অংশ ছাড়াও শহিদুল, ঝড়ি বিবি, শাহেদা খাতুন, কফিরন নেছা, আফিরন নেছা ও রুপজান নেছার নাম নিয়মিতভাবে রেকর্ডভুক্ত রয়েছে। অন্যদিকে খারিজ খতিয়ান ২৫–৭৭১৯–এ বিপ্লব হোসেন গং-এর নাম রয়েছে।
মিঠু আলীর অভিযোগ, ২০১১ সালে একই এলাকার শাহিন রেজা গোপনে আফিরন নেছার কাছ থেকে ১৬ শতক সরিকানা জমি ক্রয় করেন। পরে তিনি আদালতে দখলে পিটিশন মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান আলমডাঙ্গা পৌর ভূমি কর্মকর্তা রেজাউল হক। চলতি বছরের ২৮ আগস্ট সরেজমিন তদন্তে গেলে ভূমি কর্মকর্তা তাঁদের বা অন্যান্য অংশীদারদের না জানিয়ে একতরফাভাবে তদন্ত পরিচালনা করেন এবং প্রতিবেদন আদালতে পাঠান। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত বিবাদীপক্ষকে আবাদি ফসল (ধান) কেটে নেওয়ার অনুমতি এবং আগামী ৩০ নভেম্বর দুই পক্ষকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
মিঠু আলী অভিযোগ করেন, ভূমি কর্মকর্তার পক্ষপাতমূলক ভূমিকার কারণেই আমাদের বৈধ জমি অন্যপক্ষ কেটে নিচ্ছে। এতে আমরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছি।যাহাতে পূন:তদন্ত করে আমার জমির ফলানো ফসল ফিরে পাই এবং সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সঠিক বিচার পাই তার জন্য আলমডাঙ্গা ভূমি কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।


