আলুর পরিচর্যা ও কর্তনে ব্যস্ত সময় পার কারছে কালীগঞ্জের চাষীরা

তানজির রহমান,

মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে আলুর চাষ। আর এই আলুর পরিচর্যায় পাখি ডাকা ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাষীরা আলুর জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর চাষ ভালো হওয়ার কথা জানায় কৃষি বিভাগ।

ঝিনাইদহের প্রতিটা উপজেলার মাঠে মাঠে আলু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। শীতের মৌসুমে কালীগঞ্জের চাষিরা আলুর চাষ এবং আলুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। শুধু নিজের পরিবারের চাহিদা মেটানোর জন্য আলু চাষে ব্যস্ত নয় চাষীরা। বাণিজিক ভাবে চাষ হচ্ছে এই আলুর। জেলার চাহিদা মিটিয়ে আলু সরবারাহ হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর চাষ ভালো হওয়ায় তারা উৎপাদন খরচ মিটিয়ে আলু বিক্রয় করে লাভের মুখ দেখার আসায় আলু চাষী এবং ব্যবসায়ীরা। এই অঞ্চলে কাডিনাল (লাল), ডায়মন্ড (সাদা) ও এস্টরিক জাতের আলু উৎপাদন হয়।
বারোবাজার এলাকার ঝনঝনানিয়া গ্রামের চাষী মুকুল হোসেন জানান, তিনি প্রায় ২ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছে। উচ্চ দামে আলু বীজ ক্রয় করে আলু রোপণ করা হয়েছে। শুরুতেই আলুর গাছের পরিপক্বতা দেখে খুব ভাল মনে হচ্ছে। ধারনা করা হচ্ছে এবার গতবারের চেয়ে লাভের অংক একটু বেশি হবে।

কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে এবার আলুতে লেট ব্লাইট সহ অন্য কোনো রোগবালাই হওয়ার আশঙ্কা নেই।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির জানান, উপজেলার আলু চাষিরা এখন নিবিড় পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছে। উপজেলায় প্রায় এলাকায় এবার আলুর চাষ ভাল হয়েছে। তাছাড়াও এবার বৈরি আবওহায়া না হওয়ায় চালু চাষিরা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে।এবছর উপজেলার ১১০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এবং উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৩০ টন।