ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভা শেষে জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত কুইজ, উপস্থিত বক্তৃতাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি (ভার:) প্রফেসর ড. মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুল আরফিনের পরিচালনায় সভায় আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের আইন বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ড. শাহজাহান মন্ডল।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের জাতীয় শোকদিবস ও গ্রেনেড হামলা দিবস ২০২২ উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভার:) এইচ. এম. আলী হাসান, ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের জাতীয় শোকদিবস ও গ্রেনেড হামলা দিবস ২০২২ উদ্যাপন কমিটির সদস্য-সচিব আলমগীর হোসেন খান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, দিয়েছেন লাল-সবুজের পতাকা। যিনি সারা পৃথিবীতে সমাদৃত এমন একজন মানুষকে তাঁর কাছের মানুষদের হাতে স্বপরিবারে জীবন দিতে হলো। এধনের জঘন্যতম ঘটনা বিশ্বের বুকে দ্বিতীয়টি আর ঘটেনি।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার মাত্র ১২জন আসামীর ফাঁসির মধ্যদিয়ে এ পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। কমিশন গঠনের মাধ্যমে এ হত্যাকান্ডের নেপথ্যে যারা ছিল তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে এটা আজ আমাদের সবার প্রাণের দাবি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ইসলামী বিশবিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভাইস চ্যান্সেলর ড. শেখ আবদুস সালাম এসব কথা বলেন।

সভায় প্রধান আলোচকের আলোচনায় কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টু বলেন, ১৯৭৫ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত চরমভাবে এদেশের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। তাই বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা বই দু’টি পড়ার প্রতি উৎসাহিত করতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ অনেক ত্যাগ, তিতিক্ষার সংগঠন। অনেক সুবিধাবাদিরা এসংগঠনে প্রবেশ করে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করবে। তিনি বলেন, এ সংগঠন এবং সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অনেক ইতিহাস আছে। সুবিধাবাদিরা যেন প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে আপনারা লক্ষ্য রাখবেন।