উৎপাদনের শুরুতেই ‘কেরুজ হ্যান্ড স্যাসিটাইজারে’র ব্যাপক চাহিদা

উৎপাদনের শুরুতেই ‘কেরুজ হ্যান্ড স্যাসিটাইজারে’র ব্যাপক চাহিদা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কেরু কর্তৃপক্ষ। সোমবার চুয়াডাঙ্গার কেরু অ্যান্ড কোম্পানীতে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণসহ সব ধরণের জীবাণু ধ্বংসকারী ‘কেরুজ হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ উৎপাদন শুরু হয়েছে।

ইতিমধ্যেই বাজারজাতের জন্য স্যানিটাইজারের প্রথম চালান পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন বরাবর। কেরুর এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গাবাসী। বাজারে অন্য কোম্পানীর হ্যান্ড স্যানিটাইজারের স্বল্পতা থাকায় কেরুর এ উদ্যোগ সময়োপযোগী বলে মনে করেন অনেকে।

স্থানীয় সংবাদকর্মি মনিরুজ্জামান ধীরু বলেন, দেশের এ সংকটের সময়ে কেরু উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গাবাসী গর্বিত। সারাদেশের মানুষের করোনা ঝুঁকি কিছুটা কমিয়ে আনবে কেরু স্যানিটাইজার।

বাংলাদেশ চিনিকল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. মাসুদুর রহমান জানান, অনেকের কাছে শুনছি বাজারে গিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিরতে পারছেন না। কারণ সরবরাহের স্বল্পতা। এ অবস্থায় কেরু উদ্যোগের কারণে দেশবাসী উপকৃত হবে।

কেরু অ্যান্ড কোম্পানীর মহাব্যবস্থাপক (ডিস্ট্রিলারি) বলেন, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মূল উপাদান ইথাইল অ্যালকোহোল উৎপাদন করে কেরু অ্যান্ড কোম্পানী। সে কারণে তারা দেশের সংকটের সময়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কেরু অ্যান্ড কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহেদ আলী আনছারী জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ করতে দরকারী হ্যান্ড স্যানিটাইজার বর্তমান বাজারে অপ্রতুল। এ অবস্থায় কেবলমাত্র সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই কেরু হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুরুতে চাহিদা মতো উৎপাদন না হলেও অল্প সময়ের মধ্যেই কেরু প্রয়োজনীয় স্যানিটাইজার উৎপাদনে সক্ষম হবে।