এইসব অনাসৃষ্টি

এইসব অনাসৃষ্টি

আর কোন কবিতা লেখা হবে না,
আর কোন গান গাইবে না কেউ।
অঙ্গার-সোনার পার্থক্য ভুলবে না শিশুরা,
পাগলেরা পাইপয়সা হিসেব বুঝে নেবে।
কৈশোর দুলবে না লতার ঝুলনে,
কিশোরীর বেণী আর নাচবে না।

প্রতিদিন পত্রিকায় লাভক্ষতির খবর,
প্রতিদিন শোকহীন আনুষ্ঠানিক মৃত্যু।
মুর্খদের মুখে তড়বড়ে জ্ঞান,
শোষকেরা হবে শাসক তখন।
গোচারকেরাও মানুষের নেতার আসনে,
চুম্বক নীতিকথা রোজ চোরেদের ভাষণে।

শিল্পের সুকোমল শরীর বেটে
শিলনোড়া চেটে খাবে বাটপার-
পাখিদের পালক রোজ খসে পড়বে জলে,
তারপর ডুবে যাবে তারা, উড়বে না আর।
প্রতিদিন গন্ধ নতুন শরীর,
তারই নাম হয়ে যাবে প্রেম!

মাইক্রোফোনে রোজ নিয়ম করে
হুংকার দেয় হিংস্র দাতালের দল।
মনুষ্যত্ব নতজানু ধর্মের চাপাতি তলে,
ধর্মের ঘর হবে, মানুষ পথের ধুলোয়।
এইসব অনাসৃষ্টি সৃষ্টির দোরে-
ঈশ্বর, সাড়া দাও,কোথায়-কত দূরে?