
মেহেরপুরের কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি নিয়ে অর্থ লেনদেনের অভিযোগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ।
আজ শনিবার সদর উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত এ সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে ওয়ার্ডস্তরের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে জাফরুল্লাহকে সভাপতি ও রবিউল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
গত ৫ ডিসেম্বর সকাল আনুমানিক ১১টায় মেহেরপুর প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপির জামাই পরিচয়দানকারী আসিফুল হক মজনু কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনোনীত হতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য উপস্থাপন করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তিনি ওই সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তিনি অভিযোগ করেন, মজনু একজন অসৎ চরিত্রের লোক এবং বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ড ও নারী কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। এসব কারণে ইউনিয়নবাসী তাকে কোনো দায়িত্বে দেখতে চান না।
তিনি আরও বলেন, সে যে আর্থিক লেনদেনের কথা বলছে তা ভিত্তিহীন। তার সঙ্গে আমার কোনো অর্থনৈতিক সম্পর্ক নেই। যদি সে প্রমাণ করতে পারে, তাহলে আমি নিজেই তার দাবিকৃত সব টাকা ফেরত দেব এবং রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেব।
তিনি মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনকে কলঙ্কিত করার হীন চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ধরনের অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।


