করোনাকালে মানবসেবায় অ্যাওয়ার্ড পেলেন কুষ্টিয়ার সাফিনা আঞ্জুম জনী

মহামারী করোনা প্রতিরোধ ও মানবকল্যাণে বিশেষ অবদানের জন্য করোনা ওয়ারিয়র্স এ্যাওয়ার্ড পেলেন কুষ্টিয়ার মৌবনের নির্বাহী পরিচালক সাফিনা আঞ্জুম জনী।

সোনার বাংলা সাংষ্কৃতিক ফাউন্ডেশন ও বঙ্গবন্ধু একাডেমী যৌথ আয়োজনে সম্প্রতি রাজধানীর কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে এক অনুষ্টানে এ সম্মানা জানানো হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে করােনাকালীন সময়ে মৌবনের নির্বাহী পরিচালক সাফিনা আঞ্জুম জনী নিজস্ব অর্থায়নে মানুষের মাঝে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার,ঔষধ ও কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিনামূল্যে বিতরণ ও সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করায় এ পদক প্রদান করা হয়।

এছাড়াও তিনি নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। বয়স্কদের যারা সরকারী ভাতার আওতায় আসেনি তাদেরকে প্রতি মাসে ভাতা প্রদানসহ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছে।

সফল এই নারী সাফিনা আঞ্জুম জনি বলেন, প্রত্যেক মানুষ তার কর্মের স্বীকৃতি চায়। ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি আমি সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হয়েছি এবং করোনাকালীন এই সংকট মুহুর্ত্বেও আমি ও আমার কর্মীবাহিনীদের নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছি। আামার আজকের এই সম্মাননা এটি কল্যাণের সংগ্রামে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো সকল স্বেচ্ছাসেবকদের উৎসর্গ করছি। এই পুরষ্কার আমার দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, সাফিনা আনজুম জনী এলাকার নারীদের উন্নয়নে প্রতিষ্ঠা করেছে “নারী বাতায়ন” নামে একটি অলাভজনক ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি নারী ও শিশুদের কোরআন শিক্ষা দান, মেডিকেল ক্যাম্প, শিক্ষার্থীদের হাতের লেখা ও ছবি আঁকানো শেখানোসহ হরিজন পল্লীতে বিনামূল্যে লেখাপড়ার ব্যবস্থাসহ গেলো বছর থেকে করোনাকালীন সংকটে মানুষের মাঝে বিনামুল্যে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ঔষধ ও কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করাসহ সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন।