করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যায় যোগ হলো আরও ১০৮

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিলে যোগ দেয়া থামছেই না। দুদিন আগেই মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার চীনে ১৩৬ জনের মৃত্যুসহ মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয় ২ হাজার ৪ জন।

আর বুধবারের পর নতুন করে মারা গেছেন ১০৮ জন। সে হিসাবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নভেল করোনায় বিশ্বজুড়ে মারা গেছেন দুই হাজার ১১২ জন।

এদের মধ্যে কেবল চীনেই মারা গেছেন ২০২৯ জন।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া নিউজ এজেন্সি জানায়, বুধবার নতুন করে মারা গেছেন ১০৮ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪৯ জন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১২০৯ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫ হাজার ৭২৫ জন।

ডিসেম্বরের পর এখন পর্যন্ত এই রোগ থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ হাজার ৩৩০ জন।

তবে এমন মৃত্যুর খবরের পরও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দাবি করেছেন, ভাইরাস মোকাবেলায় দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে।

মঙ্গলবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে এক ফোনালাপে তিনি বলেন, ‘মহামারী নিয়ন্ত্রণে চীনের দক্ষ ও ব্যাপক পদক্ষেপের কারণে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

যতিও চীনের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী ওয়াং চেন উল্টো কথাই জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, এই ভাইরাসটি ফ্লুর মতো স্থায়ী রোগে রূপ নিতে পারে। এ জন্য গোটা পৃথিবীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি আমি।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিষয়ে বিশ্ব সংস্থাসহ বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী বলেছেন, কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হলেই যে মৃত্যু অনিবার্য তা কিন্তু নয়। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো তাদের দেহে এ জীবাণু তেমন প্রভাব ফেলতে পারে না। কিছু দিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে রোগটি।

তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরনো রোগীদের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসটি মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এটি মোড় নিতে পারে নিউমোনিয়া, রেসপিরেটরি ফেইলিউর বা কিডনি অকার্যকারিতার দিকে। পরিণতিতে ঘটতে পারে মৃত্যু।

এদিকে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সুসংবাদ দিয়েছে চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন।

কমিশনের দাবি, সংক্রমণের হার দ্রুতই কমে আসছে। এমনকি ভাইরাসটি আঁতুড়ঘর উহানে গত দুই সপ্তাহ ধরে সংক্রমণের সংখ্যা কমছে।

এ বিষয়ে সরকারপন্থী সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদক হু শিন এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘করোনা মোকাবেলায় চীন এখন বিজয়ের পথে। হুবেইপ্রদেশের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০-এর নিচে নেমে এসেছে।

 

 

 

সুত্র-যুগান্তর

 

 

মেপ্র/আরজেএম