করোনার দুর্যোগে কুষ্টিয়ায় ৬০ লাখ টাকা জরিমানা আদায়

বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংক্রমন হটাৎ করে কুষ্টিয়াসরসহ ৬টি উপজেলা, ৫টি পৌরসভাসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রজ্ঞাপনে ঘোষিত কুষ্টিয়া পৌরসভার ২১টি ওয়ার্ড, ভেড়ামারা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড এবং ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম ও বাহিরচর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষকে লকডাউন মানাতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেনের বিশেষ নির্দেশনায় গত কয়েকদিনে প্রায় ৮শটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এসময় প্রায় ২ হাজার মামলায় ৬০ লাখ টাকা অর্থদন্ড আদায় ও বেশ কয়েকজনকে কারাগারেও প্রেরণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের একটি দায়িত্বশীল সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট লুৎফুন নাহার’র নেতৃত্বে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইছাহক হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী, ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল মারুফ,মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস, দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিবুল শেখ, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এলএ) কানিজ ফাতেমা লিজা, সীমা শারমিন, খোকসা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সবুজ কুমার বসাক, সদর সহকারী কমিশনার (ভুমি) নাহিদ হাসান, এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু রাসেল, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইসাহাক আলী, এবি এম আরিফুল ইসলাম, সবুজ হাসান, তাইফুর রহমান, আহমেদ সাদাত, মাহেরা নাজনিন, মুনমুন নাহার আশা, রিজু তামান্না, মোছাঃ মুনিরা সুলতানা, মোছা খাদিজা খাতুন, সবুজ হাসানসহ সকল সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ প্রজ্ঞাপন জারী হওয়ার পর থেকে মুখে মাস্ক না থাকা, প্রয়োজন ছাড়া বাইরে থাকা, নির্ধারিত সময়ের পরেও দোকান খোলা রাখা এবং সংক্রামক রোগ ( প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ, নির্মুল) আইন ২০১৮’র সংশ্লিষ্ট ধারার ক্ষমতাবলে জেলায় ৮শটি অভিযান পারিচালিত করেছে।
তাতে প্রায় ২ হাজার মামলা হয়েছে এবং বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রায় ৬০ লাখ টাকা অর্থদন্ড আদায় ও বেশ কয়েকজনকে কারাগারেও প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে গতকাল কুষ্টিয়া শহরে লাহিনী বটতলায় অভিযান চলাকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবিএম আরিফুল ইসলাম জানান, কুষ্টিয়ায় করোনা সক্রামন বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ২৪ জুন জেলা প্রশাসক সভা কক্ষে করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক জরুরী সভায় সিন্ধান্ত হয় যে, কুষ্টিয়া এলাকায় করোনা সংক্রমন আর কোন ভাবেই বৃদ্ধি হতে দেয়া যাবে না।
সে সিন্ধান্ত অনুযায়ী জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসনের বিশেষ নির্দেশে কুষ্টিয়া সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ ওষুধের দোকান, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান (মুদি দোকান) কিটনাশক’র দোকান ব্যতিত বাকি সকল দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এবং বিকেল ৪টার পর নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান খোলা রাখতে পারবে না।
এসব নির্দেশনাগুলো জেলা প্রশাসনের ফেসুবক পেইজ, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, মাইকিংসহ ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে এবং হচ্ছে। সে সব নিয়মগুলো সঠিক ভাবে মানা হচ্ছে কিনা, কোথাও এর ব্যর্তয় ঘটছে কিনা। সে সব পর্যবেক্ষণ করতে প্রতিদিন আমরা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ, সেনা সদস্য, পুলিশ সদস্যদের সহযোগীতায় আইন অমান্যকারীদের আইনের আওতায় এনে তাদেরকে অর্থদন্ড এবং স্বল্প সময়ের জন্য কারাদন্ড প্রদান করা হচ্ছে। মুলত মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি কুষ্টিয়া যাতে করোনা মুক্ত থাকে সকল কুষ্টিয়াবাসী যাতে নিরাপদে থাকতে পারেন সে জন্যে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৮শটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে ২ হাজারটি মামলা এবং ৬০ লক্ষ টাকার অধিক অর্থদন্ড আদায় করা হয়েছে, বেশ কয়েকজনকে কারাদন্ডও দেয়া হয়েছে এবং এ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।