করোনা টেস্ট করাতে ঢাকায় এসে ‘খুন’ হলেন দুবাই প্রবাসী

খিলক্ষেতে ফ্লাইওভার থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় এক প্রবাসীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহতের নাম সুভাষ চন্দ্র সূত্রধর (৩২)। তার বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলায়।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানিয়েছে, করোনা টেস্ট করাতে ও দুবাই যাওয়ার জন্য টিকিট কিনতে বুধবার রাতে ঢাকায় আসেন সুভাষ। ভোরের দিকে ৩০০ ফিট রোডসংলগ্ন ফ্লাইওভার থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

দুবাই প্রবাসী সুভাষকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের ভায়রা কৃষ্ণ বাবু যুগান্তরকে বলেন, আগামী ৮ মে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল সুভাষের। এজন্য করোনা টেস্ট ও বিমানের টিকিট কেনার জন্য গতকাল রাত ৮টায় মাইক্রোবাসে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। যাওয়ার সময় ৬০/৭০ হাজার টাকা সঙ্গে নিয়ে যান।

তিনি বলেন, ভোরের দিকে আমার শাশুড়ি ফোন দিয়ে জানান সুভাষের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমার বাসা খিলক্ষেত এলাকায় হওয়ায় আমি বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। এর মধ্যে খিলক্ষেত থানায় ফোন দিলে পুলিশ সুভাষের লাশ উদ্ধারের কথা জানায়।

‘পরে ফ্লাইওভারে গলায় গামছা পেঁচানো রক্তাক্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পাই। তবে তার কাছে কোনো টাকা পাওয়া যায়নি।’

নিহতের পরিবারের দাবি, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। পুলিশ যেন হত্যাকারীদেরকে খুঁজে বের করে সঠিক বিচার করে।

নিহত সুভাষ বগুড়ার শিবগঞ্জের বড় নারায়নপুর গ্রামের মৃত সুবীর চন্দ্র সূত্রধরের ছেলে। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট ছিলেন। তার আরও তিন ভাই দুবাইতে থাকেন। গত বছর দেশে এসে বিয়ে করেছিলেন সুভাষ।

খিলক্ষেত থানার এসআই শাহিনুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, নিহতের কাছে থেকে পাওয়া পাসপোর্ট অনুযায়ী, তিনি দুবাই থাকতেন। গত বছরের ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশে আসেন।

পরিবারের বরাতে তিনি আরও বলেন, আগামী ৮ মে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল সুভাষের। এজন্য গতকাল গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় করোনা টেস্ট করানোর জন্য এসেছিলেন।

প্রাথমিকভাবে এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে বলে জানান এসআই শাহিনুর।