করোনা বুলেটিন একেবারে বন্ধ না করার আহ্বান কাদেরের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিন একেবারে বন্ধ না করে সপ্তাহে দুই দিন প্রচারের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ, মৃত্যুসহ প্রতিদিন স্বাস্থ্য বিভাগের আপডেট বন্ধ হলে এ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনমানুষের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি গুজবের ডালপালা বিস্তারের আশংকাও থেকে যাবে। এ সময় বিষয়টি বাস্তবতার নিরিখে বিবেচনায় নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

আজ বুধবার সিলেট জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসির কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ আহ্বান জানান। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনার এ সময়ে সরকার জনসমাবেশ বা কোনো ধরনের সমাগম সংক্রমণ রোধের স্বার্থে বন্ধ ঘোষণা করেছে। কোনো ধরনের অনিয়ম কিংবা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সরকার দ্রুততার সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ নিয়ে মানববন্ধন ও রাজনৈতিক কর্মসূচি করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি করতে পারে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেকোনো মামলার সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে এবং এ সময়ে সবাইকে ধৈর্য ও সহনশীলতা প্রদর্শনের আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

উন্নয়ন প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ না হলে সরকারের ব্যয় বেড়ে যায় উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সময়মতো নির্মাণকাজ শেষ করতে ব্যর্থ হওয়া ঠিকাদার এবং তদারককারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্বল্পসময়ে ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ক কার্যাদি সম্পাদনে জেলা প্রশাসকদের অধিকতর সক্রিয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা দেখা দিলে নির্ধারিত সময়ে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়। জেলা প্রশাসনের সাথে প্রকল্প এলাকার সড়ক প্রকৌশলীদের সমন্বয় বাড়ানোর পাশাপাশি এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা গ্রহণের পরামর্শ দেন তিনি।

প্রকৌশলীদের মাঠ পর্যায়ে চলমান সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার কাজে নিবিড় তদারকি এবং পরিদর্শন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভবিষ্যতে পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা বিবেচনায় নেয়া হবে।

তিনি বলেন, সিলেটবাসীর দীর্ঘ প্রত্যাশিত ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে। এশীয় ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এ মহাসড়ক উন্নয়নে অর্থায়ন চূড়ান্ত করেছে। সিলেট শহর থেকে বিমানবন্দর এবং কুমারগাঁও হতে বাদাঘাট হয়ে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়ক দু’টি চার লেনে উন্নীত করার কাজও শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু গণপরিবহন করোনাকালের জন্য গৃহীত ব্যবস্থা হিসেবে সমন্বয় করা ভাড়া ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে না বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, অর্ধেক আসন খালি রাখার কথা থাকলেও অনেক পরিবহন তা প্রতিপালন করছে না। এ বিষয়ে মন্ত্রী আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিআরটিএ’কে অভিযুক্ত পরিবহনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

ভিডিও কনফারেন্সে অন্যান্যর মাঝে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চন্দন কুমার দে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহারিয়ার হোসেন, সিলেট সড়ক জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার কান্তি সাহাসহ বিভিন্ন সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং বিআরটিএ ও বিআরটিসি’র কর্মকর্তাগণ সংযুক্ত ছিলেন। বাসস

সূত্র- ইত্তেফাক