করোনা মোকাবেলায় মেহেরপুর জেলা পুলিশের কৃতিত্ব

প্রতিদিনিই রেকর্ড ছাড়াচ্ছে করোনা রোগী সনাক্তের সংখ্যা। করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে গোটা দেশে। করোনার এই সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন, ডাক্তার ও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাঠ পর্যায়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রশংসনীয় কাজ করছে পুলিশ। এ পর্যন্ত ৭ জন পুলিশ সদস্য করোনা ভাইরাসে মৃত্যু বরণ করেণ। সেই সাথে ১৭৫৬ জন পুলিশ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছে। যাদের বেশির ভাগই কনস্টেবল।

গত ২৪ মার্চ থেকে মেহেরপুরে করোনা আতঙ্ক শুরু হয় এবং অঘোষিত লক ডাউন করে দেওয়া হয়। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলেও ১০ মে থেকে সীমিত আকারে পুনরায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়। করোনা ক্রান্তিকালের শুরু থেকে এখনো পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে মেহেরপুর জেলা পুলিশ।

কখনো মাইক হাতে লোকজনকে সচেতন করা, কখনো লিফলেট হাতে , কখনো লাঠি হাতে, আবার কখনো খাদ্য সামগ্রী বিতরণে। প্রায় সব খানেই পুলিশের উপস্থিতি ব্যাপক। করোনা প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি মাঠে থাকছে জেলা পুলিশের সদস্যরা। তবে এখনো পর্যন্ত মেহেরপুরে দায়িত্বরত কোন পুলিশ সদস্যের করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। মেহেরপুর জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে ৭জন। এদেও মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। যা অন্যান্য জেলার তুলনায় কম।

মেহেরপুর পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলীর নির্দেশে করোনা প্রতিরোধে মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর থানার পুলিশ সদস্যরা প্রশংসনীয় কাজ করে চলেছে। করোনা মোকাবেলায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন পুলিশ সুপার নিজেই। আজ বুধবার মেহেরপুর শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও প্রধান সড়কে জন সচেতনাই লিফলেট বিতরণ করেণ তিনি।

এছাড়াও করেনা মোকাবেলাই বেশ কৃতিত্বের সাথে কাজ করছে জেলা গোয়েন্দা বিভাগ ও ট্রাফিক বিভাগ। চলাচলে নিয়ন্ত্রন ও জনসগাম রোধে ব্যাপক প্রশংসীত।

বুধবার লিফলেট বিতরণ কালে পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই আমরা প্রতিরোধের জন্য কাজ করছি। সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত ও জনগনকে ঘরে ফেরাতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দোকানপাট গুলো ও শপিংমল গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে জেলা পুলিশের সদস্যরা। এছাড়াও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অসহায় দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমাদের চলামান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

মেপ্র/এমএফআর