করোনা সংক্রমণ এড়াতে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে

গেলো দশ দিনে দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে হু হু করে। গত ২২ মার্চ দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছিল ২৮০৯ জন, মৃত্যু হয়েছিল ৩০ জনের। ঠিক দশ দিন পর শনাক্ত হয়েছে ৬৪৬৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৯ জনের। গেলো ১০দিনের পরিসংখ্যান একত্রিত করলে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৬ হাজার ৮৮৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪১৫ জনের।

একইভাবে গত ২ সপ্তাহে মেহেরপুর জেলাতেও শনাক্ত হয়েছে ৪৫জন করোনা রোগী। যেখানে জানুয়ারিতে ছিল মাত্র ১৫ জন, ফেব্রয়ারিতে ছিল মাত্র ১ জন । তারপর থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত ছিল শূণ্য। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে গত ১৩ মার্চ থেকে এপর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ জন। মেহেরপুরে আক্রান্তদের অধিকাংশ সদর উপজেলার। কক্সবাজার, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ফিরে এসে তারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ফলে একই ভাবে এক স্থান অন্য স্থানে করোনা সংক্রমিত হচ্ছে।

গণপরিবহনে অর্ধেক আসন সংখ্যা বাস্তবায়ন করাসহ করোনা সংক্রমণের উর্ধ্বগতিতে সরকার নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। সেই নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে কাজে লাগানোর জন্য প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের তাগাদাও দিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনিক তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মাস্ক ব্যবহার করাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে ব্যাপারে সচেতনতা করা হচ্ছে। গণপরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ায় জরিমানা করা হয়েছে।

তবে করোনা সংক্রমণ উর্ধ্বগতিতে বাড়লেও বিভিন্ন ধরণের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জনসমাগম হতে দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে পর্যটন এলাকাগুলোতে গত কয়েকদিন দেখা গিয়েছে তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

সরকার গতকাল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত কক্সবাজারসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলি বন্ধ রাখার ঘোষনা দিয়েছে, যা অত্যন্ত কার্যকরী পদক্ষেপ। একইভাবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিণ্ন জনসমাগম জাতীয় অনুষ্ঠান বন্ধে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। হোটেল, রেস্তোরাঁ, কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ ও অবস্থানের পুরোটা সময়ই মাস্ক পরাসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে পদক্ষেপ নিতে হবে।