কার্পাসডাঙ্গা বাজারে রাতের আঁধারে চুরির ঘটনায় ধুম্রজালের সৃষ্টি

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে গতকাল শক্রবার দিবাগত রাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।

আসলে চুরি নাকি অন্য কিছু তা নিয়ে চলছে চায়ের দোকানে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। জানা গেছে কার্পাসডাঙ্গা বাজারের ৫ টি দোকানে চোরচক্র সার্টারের তালা মারা অবস্থায় সার্টারের মাঝখান তুলে ভিতরে প্রবেশ করে এ চুরির ঘটনা ঘটায়। চুরির এমন কৌশল। এ ধরনের ঘটনা দেখে হতবাক হয়েছে সচেতন মহল।

তবে চুরির দাবী করলেও কোন দোকানদার মামলা করতে রাজী না হওয়ায় সচেতন মহলের অনেকে মন্তব্য করে বলেন আসলে কি সত্যিকার অর্থে চুরি হয়েছে না বাজারে জল ঘোলার চেষ্টা চলছে তার তদন্ত দরকার। আর একটি দোকানেও মালামাল চুরি হলোনা তালা ভাঙ্গলো না সার্টার তুলে কিভাবে ভিতরে গেলো তবে প্রকৃত ঘটনাটি কি চুরি না অন্যকিছু।

কার্পাসডাঙ্গা বাজারের মসজিদের পাশে দোকানদার লিপু সুতা ঘরের মালিক জানান, তার দোকানে থাকা নগদ ১২ হাজার টাকা চুরি হয়েছে তবে কোন মালামাল চুরি হয়নি।
জুঁই গার্মেন্টসের মালিক দুদু বলেন, মোকামে যাবার জন্য তার দোকানে থাকা নগদ ১ লক্ষ ১ হাজার চুরি হয়েছে তবে কোন মালামাল চুরি হয়নি বলে জানান।

হাইস্কুল মার্কেটের বিশ্বাস হার্ডওয়ারের মালিক জানান, তার দোকানে থাকা ৬ হাজার ৫ শত টাকা চুরি হয়েছে ও দু’হাজার টাকার তালা চুরি গেছে ।

বারিক কাপড়ের দোকানে কোন কিছু নিতে পারেনি চোরচক্র তবে হোটেল তাজের পাশে মাহা ক্লথ ষ্টোরের মালিক জানান, তার যে ড্রয়ারে টাকা ছিলো সেটা ভাঙ্গতে পারেনি তবে মালামাল সব উলট পালট করা হয়তোবা ৫ হাজার টাকার মত মালামাল নিতে পারে।

ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি তদন্ত জাহাঙ্গীর আলম। এ বিষয়ে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, আমরা বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ ও দোকানদারদের সাথে বসেছিলাম তাদের বারবার পুলিশের সহায়তা দেওয়ার কথা বলেছি ও এ ঘটনায় মামলা করার কথা বলেছি তবে তারা রাজী হয়নি।

তবে ঘটনা যাই হোক তা তদন্ত করা হচ্ছে প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার ও কথা জানান তিনি।

-কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি