কুষ্টিয়ার অভুক্ত কুকুরদের খাবার দিলেন কামরুজ্জামান নাসির

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে লকডাউনের কারণে খাদ্য সঙ্কটে পড়া কুষ্টিয়া শহরের পথের কুকুরদের খাবার দিলেন কুষ্টিয়ার কেএনবি এ্যাগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান নাসির ও তার সহধর্মীনি রোটা: চামেলী জামান।

রবিবার রাতে কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোড, মজমপুর, চৌড়হাস, হাউজিং, নিশান মোড়, বটতৈলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ঘুরে ঘুরে কুকুরদের খাবার দেন তিনি।

কামরুজ্জামান নাসির জানান, প্রাণী জগতে কুকুর প্রভুভক্ত ও মানুষের উপকারী। এদের একটি অংশ গৃহপালিত। তবে তাদের একটি বড় আংশ পথেই থাকে। তাদের খাবারের জোগান হয় ডাস্টবিন ও নালা-নর্দ্দমায় ফেলে দেওয়া গৃহস্থালি ও হোটেল-রেঁস্তোরার খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশে।

“তবে করোনাভাইরাস কবলিত শহরে লকডাউন চলাকালীন সময়ে হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় এবং গৃহবন্দি মানুষের জীবনযাপনে সীমিত রান্নাবান্নার কারণে ডাস্টবিন ও নালা-নর্দমায় খাবারের উচ্ছিষ্ট নেই বললেই চলে।”

তিনি বলেন, “একারণে পথের কুকুরগুলো অভুক্ত। মধ্যরাতে ক্ষুধাকাতর কুকুরের আকুল বিলাপে আমার মন কাঁদে এবং অনেকেরই খারাপ লাগে। এই পৃথিবী শুধু মানুষের নয়, খোদাসৃষ্ট সকল প্রাণীর। মূল সড়ক ও অলিগলিতে ঘুরে ঘুরে কুকুরদের রান্না করা খাবার দেন তারা।

রোটা: চামেলী জামান জানান, “মানুষের একতরফা কর্তৃত্বে মানুষই শ্রেষ্ঠ! তাই অন্যপ্রাণীকুল আজ বিপন্ন, নিপীড়িত এমনকি বিলুপ্তপ্রায়। অথচ প্রাণীর সম্মিলিত সহযোগে প্রকৃতির ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত। তাই শুধু মানুষই নয়, সকল প্রাণীও প্রকৃতির সঙ্গী। এই শিক্ষা করোনা দূর্যোগকালীন দুঃসময়ে গ্রহণ করা আমাদের সবার উচিত।” আমরা এটি উপলব্ধি করতে পেরে আমরা কয়েকদিন ধরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় খাবার দিয়েছি। তাই অভুক্ত প্রাণীদের একটু খাবার দিতে শহরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তারা।