কুষ্টিয়ায় করোনা আক্রান্ত রোগীর বাড়িতে ডিসির উপহার

কুষ্টিয়া করোনা আক্রান্ত আইসোলেশনে থাকার রোগীদের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিলো জেলা প্রশাসকের উপহার সামগ্রী।

উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল ১৪ দিনের জন্য চাল, ডাল, লবণ, চিনি, চিনি, তেল, চিড়া, নুডুলস ও ফলমূলসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী।

শুক্রবার বিকালে জেলা প্রশাসক মো: আসলাম হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ ওবায়দুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী, এনডিসি মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম খাদ্যসামগ্রী নিয়ে বের হয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের বাড়ীর দরজায় এসব উপহার ও বার্তা পৌঁছে দেন।

এ সময় করোনা আক্রান্ত রোগীদের ব্যাপারে লোকজনের নেতিবাচক আচরণ পরিবর্তনের বার্তা প্রচার পৌঁছাতে ‘ভয় নেই, জেলা প্রশাসন আপনার পাশে আছে। সাহস ও মনোবল হারাবেন না, করোনা হারবেই, আপনিই জিতবেন।’এভাবেই তাদেরকে সাহস ও ধৈর্য্যে ধারণ করতে বলেন জেলা প্রশাসক।

তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ আপনার সাথেই আছেন। কাজেই মনোবল হারাবেন না।

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, জেলায় শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০৫ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তা সামগ্রীর অংশ হিসেবে জেলার করোনা রোগীদের বাড়িতে পর্যায়ক্রমে কয়েকদিনের মধ্যে প্রত্যেক আক্রান্ত রোগীর বাড়িতে এসব খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।

খাদ্য সহায়তার মধ্যে রয়েছে মিনিকেট চাল ২৫ কেজি, ডিম ৩০টি, দুধ ২ লিটার, মাল্টা ২ কেজি, আপেল ২ কেজি, লিচু ৮০টি, ছোলা ১ কেজি, লেবু ২০টি, গাজর ৫০০ গ্রাম, আমলকি ৫০০ গ্রাম, কাজুবাদাম ২০০ গ্রাম, আলু ৫ কেজি, সয়াবিন তেল ২ লিটার, লবণ ২ কেজি, চিনি ২ কেজি, সুজি ১ কেজি, মসুর ডাল ২ কেজি, সাবান ২টি, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ২টি, আদা ৫০০ গ্রাম, কালোজিরা ২৫০ গ্রাম, লবঙ্গ ২৫ গ্রাম, তেজপাতা ১০০ গ্রাম, দারুচিনি ১০০ গ্রাম, ম্যাগি স্যুপ ৫টি, নুডলস ৮ প্যাকেট, খেজুর ১ কেজি, অ্যান্টিহিস্টাসিন ৫ পাতা, সিভিট ৫ পাতা, প্যারাসিটামল ৫ পাতা রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো: আসলাম হোসেন বলেন, আক্রান্ত রোগীদের ১৪ দিন ঘরে বন্দী থাকতে হচ্ছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও বাড়ির বাইরে বের হতে পারছেন না। তাই তাঁদের প্রত্যেকের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ১৪ দিনের খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত রোগী ও তাঁদের পরিবারের প্রতি অনেকেই অমানবিক আচরণ করছেন। এতে অনেক রোগী সাহস ও মনোবল হারিয়ে ফেলছেন। তাঁদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এতে তাঁদের মনোবল শক্ত হবে।