কুষ্টিয়ায় কোচিং সেন্টার মালিকের জেল-জরিমানা

কুষ্টিয়ায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোচিং বাণিজ্য চালানোর দায়ে এক কোচিং সেন্টারের পরিচালককে ১৫ দিনের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযানে আরও বেশ কিছু শিক্ষকের অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে থেকে এসব অভিযান চালানো হয়। সরকারি আদেশ অমান্য করে শিক্ষার্থী সমাবেশ ঘটিয়ে কোচিং সেন্টার চালু রাখার অপরাধে কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকায় আইকন এডুকেয়ার নামক কোচিং সেন্টারের মালিককে কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল দুপুরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানা যায়, সরকারি আদেশ অমান্য করে শিক্ষার্থী সমাবেশ ঘটিয়ে কোচিং সেন্টার চালু রাখার অপরাধে কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকায় আইকন এডুকেয়ার নামক কোচিং সেন্টারের মালিক হোসাইনকে ১৮৬০ ধারা মোতাবেক ১৫ দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

এছাড়াও একই কোচিং সেন্টারের দুইজন শিক্ষকসহ কুষ্টিয়া হাইস্কুল এন্ড কলেজের অভ্যন্তরে কোচিং করানোর সময় স্কুলের দুইজন শিক্ষককে অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: সবুজ হাসান ও আহমেদ সাদাত।

এসময় তাঁরা কোচিং সেন্টার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে বিশেষ ক্লাসের নামে কোচিং ব্যবসা ও প্রাইভেট পড়ানো সহ শিক্ষার্থী সমাবেশ ঘটিয়ে এ সংক্রান্ত অপরাধমুলক কার্যক্রমে নিজেদের সম্পৃক্ত না করতে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন।

অপরদিকে দৌলতপুর উপজেলার ডিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক শিক্ষক কোচিং বাণিজ্য চালাচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আলিমুন হোসেন ও শিক্ষক মুসফিকুর রহমানকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. আজগর আলী।

এছাড়াও কুমারখালিতে কোচিং সেন্টার চালু রাখার অপরাধে খোরশেদপুর এলাকার রানা কোচিং সেন্টার ও স্ট্যাডি কেয়ার কোচিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে তাদের কাছ থেকে ১৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহায়মিনুল আল জিহান।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফন নাহার জানান, সরকারি আদেশ অমান্য করে শিক্ষার্থী সমাবেশ ঘটিয়ে কোচিং সেন্টার চালু রাখা যাবে না। এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে বিশেষ ক্লাস কিংবা কোচিং ব্যবসা ও প্রাইভেট পড়ানো সহ শিক্ষার্থী সমাবেশ ঘটিয়ে এ সংক্রান্ত অপরাধমুলক কার্যক্রমে নিজেদের সম্পৃক্ত কোনভাবেই করা যাবে না। যদি কেউ এমন অপরাধ করে তাকে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।