কুষ্টিয়ায় বিবাহবার্ষিকীর সাজে বাল্যবিয়ে, মহিলা বিষয়ক কর্মকতার থাবা

বাল্যবিয়ের আয়োজন করে বিবাহবার্ষিকী বলে প্রচারণা চালিয়েও পার পায়নি কণের বাবা। শুক্রবার এ বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ছিলো।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের গোপালপুর এলাকার মিজানুর রহমান তার ১৩ বছর বয়সী মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেন।

কিন্তু বাঁধ সাধে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতর ও কিশোর কিশোরী ক্লাব এবং তারুণ্য ৭১ নামের সংগঠন। তাৎক্ষণিক মহিলা বিষয়ক অফিসার মর্জিনা খাতুনের হস্তক্ষেপে তা আর হয়নি। মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পেয়েছেন মেয়ের বাবা।

পরে মুচলেকা দিয়ে ওই বিয়ে বন্ধ করতে হয় তাঁকে।

সদর উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার মর্জিনা খাতুন বলেন, ওই ব্যক্তি আইন লঙ্ঘন করে তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ের বিয়ে দিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে তিনি গিয়ে সেই বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা পাননি বলেও দাবী করেন।

মর্জিনা খাতুন বলেন, ধুমধাম করে বাল্য বিয়ের আয়োজন করতেও কৌশল অবলম্বন করেন তারা। বিশাল প্যান্ডেল, স্টেজ করাসহ বিশালাকৃতির তোরণ (গেট) বানানো হয়। তবে ছলচাতুরী করে গেটের উপর বিবাহ বার্ষিকীর ব্যানার সাঁটিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে লেখা ছিলো ফারুক হোসেন ও নেহা ফেরদৌসী বৃষ্টির বিবাহ বার্ষিকী। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানকে বিবাহ বার্ষিকী বলে প্রচারণা চালিয়েও পার পায়নি।

তবে এতোকিছুর পরেও ‘আইনগত জটিলতার কারণে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা মুচলেকায় উল্লেখ করেছেন মেয়ের বাবা।’

মুচলেকায় কণের বাবা মিজানুর রহমান লেখেন, এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে, আমার মেয়ের বয়স ১৮বছর পুর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আমার মেয়েক বিয়ে দিলে আইনগত যা শাস্তি হবে তাই মেনে নেবো।

মিজানুর রহমান জানান, ভুলবশত আমার মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি হয়েছি কিন্তু উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার এই বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে আমার বাড়িতে এসেছে তাই আমি আমার মেয়েকে আর বিয়ে দেবো না।