কুষ্টিয়ায় ভূমি ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু

কুষ্টিয়া জেলায় ভূমি ব্যবস্থাপনা ও সেবায় ইনফরমেশন টেকনোলোজির প্রয়োগ শীর্ষক চারদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সামাজিক দূরত্ব মেনে মিরপুর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়।

বরিশাল বিভাগের মূল এবং খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-ভূমি সংস্কার কমিশনার তরফদার মো: আক্তার জামীল এ প্রশিক্ষণ কমর্সূচির শুভ উদ্বোধন করেন।

প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ ওবায়দুর রহমান, মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিংকন বিশ্বাস, মিরপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল হাসান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কোর্স পরিচালক ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদ হাসান খান।

প্রশিক্ষণে ভূমি ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ, ভূমি তথ্য সেবা ও কাঠামো, ই-মিউটেশন, ইউনিয়ন ও উপজেলা ভূমি অফিসের রেজিস্টার সংরক্ষণ ও হালনাগাদ করণ, নামজারি রিভিউ ও মিস মোকদ্দমা, ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ও প্রতিবেদন প্রেরণ, রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা, খাসজমি ও সায়রাত মহল ব্যবস্থাপনা, এসএফ লিখন পদ্ধতি, উত্তরাধিকার সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান প্রভৃতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণার্থীদের ধারণা প্রদান করা হয়।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে ভূমি ব্যবস্থাপনায় ও ভূমি সেবায় ইনফরমেশন টেকনোলজি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।

জনদুর্ভোগ ও হয়রানি বন্ধে ইনফরমেশন টেকনোলজির ব্যবহার একটা গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতে পারে। সে লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং ভূমি সংস্কার বোর্ড কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়নের লক্ষে ল্যান্ড ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলআইএমএস) প্রণীত হয়েছে। দেশের সবকয়টি জেলাতে ই-মিউটেশন চালু করা হয়েছে যার সুফল জনগণ পেতে শুরু করেছে। খুব শীঘ্রই ভূমি উন্নয়ন করের দাবী নির্ধারণ এবং আদায়ও অনলাইনে সম্পদিতত হবে।

এছাড়া ভূমি সংক্রান্ত সেবা সহজ করতে সারাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও সেবা প্রদান পদ্ধতিকে অটোমেশনের আওতায় আনার কাজ চলছে। তিনি হয়রানিমুক্ত পরিবেশে সেবা প্রদানের জন্য ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আহবান জানান। এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি রিসোর্স পার্সন হিসেবেও তিনটি সেশন পরিচালনা করেন।

উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া জেলার সর্বমোট ১৫ জন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, সার্টিফিকেট সহকারী, সার্ভেয়ার অফিস সহকারী ও নামজারী সহকারীবৃন্দ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছেন।