কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সাতদিনেই ৪ গুণ দাম বৃদ্ধি

কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে শেয়ারবাজারে সাত কার্যদিবসেই ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের দাম প্রায় ৪ গুণ বাড়ানো হল। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের সর্বশেষ বাজারমূল্য ৮১৩ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ৩০ কোটি ২৯ লাখ শেয়ারের মধ্যে মাত্র ৪৩ হাজার ৫১৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর এর বাজারমূল্য ছিল ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

অর্থাৎ এই প্রক্রিয়ায় ৩ কোটিরও কম টাকা লেনদেন করে কৃত্রিম সংকটের কারণে কোম্পানির বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার কোটি টাকা। আর এখন উদ্যোক্তারা চাইলেই বাজার থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে পারে। এটি আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) বিব্রত। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওয়ালটনের এই দাম অসম্ভব, অবাস্তব এবং অকল্পনীয়। তাদের মতে, এই কোম্পানির ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। না হলে বিনিয়োগকারীদের মরণ-ফাঁদ এবং শেয়ারবাজারের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে ওয়ালটন।

জানতে চাইলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মো. রকিবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ওয়ালটনের এই দাম অসম্ভব এবং অবাস্তব। এ ধরনের ঘটনা শেয়ারবাজারের জন্য অকল্পনীয়। তিনি বলেন, কোম্পানিটি বাজারে মাত্র দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার ছেড়েছে। এরপর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজার থেকে টাকা নেয়ার হাতিয়ার হয়েছে এটি। তিনি বলেন, যে কোম্পানির মূল্য ২ হাজার কোটি টাকাও নয়, সেই কোম্পানির দাম ২৪ হাজার কোটি টাকায় উঠানো হয়েছে। কয়েক দিন পর দেখা যাবে এটি ৩০ হাজার কোটি টাকায় নেয়া হয়েছে। এভাবে বাজারটাকে পাগলামির পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটি এখনই বন্ধ করতে হবে। এক্ষেত্রে দুটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রথমত, ভালো কোনো অডিট কোম্পানি দিয়ে ওয়ালটনের আর্থিক রিপোর্ট পুনঃনিরীক্ষা করাতে হবে। দ্বিতীয়ত, কোম্পানিকে কমপক্ষে ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে বাধ্য করতে হবে। না হলে এই বাজার অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গত রোববার ওয়ালটনের ৩ লাখ শেয়ারের ক্রয় আদেশ বসানো হয়। আর এই পরিমাণ শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ১৮ কোটি টাকা। যে বিও অ্যাকাউন্টে ক্রয় আদেশ দেয়া হয়েছে, সেখানে মাত্র ১ কোটি টাকা ছিল। অর্থাৎ অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকলেও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার জন্য এই অর্ডার বসানো হয়েছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি চিহ্নিত করেছে বিএসইসি। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম যুগান্তরকে বলেন, ওয়ালটনের শেয়ারে কোনো অস্বাভাবিক লেনদেন হয়ে থাকলে আমরা ব্যবস্থা নেব। তিনি বলেন, ৩০ দিনের আগে এই শেয়ার কেনায় মার্জিন ঋণ দেয়ার সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংক এই কোম্পানির শেয়ার কেনায় ঋণ নিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানা গেছে, শেয়ারবাজারে আসার আগে এই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ছিল ৩০০ কোটি টাকা। এরপর আইপিওর ১০০ কোটি টাকা নেয়া হয়। কিন্তু এতে কোম্পানির মূলধনে যোগ হয়েছে মাত্র ২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। বাকি ৯৭ কোটি টাকা প্রিমিয়াম হিসেবে পেয়েছে কোম্পানিটি। ফলে আইপিও-পরবর্তী পরিশোধিত মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩০২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আর আইপিওতে শেয়ারের সংখ্যা ছিল ২৯ লাখ ২৮ হাজার, যা পরিশোধিত মূলধনের মাত্র দশমিক ৯৭ শতাংশ। এর মধ্যে ১৩ লাখ ৭৯ হাজার শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কিনেছেন। বাকি প্রায় ১৫ লাখ ৪৯ হাজার শেয়ার ২৫২ টাকা মূল্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কিনেছেন।

জানতে চাইলে শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, ওয়ালটনের ব্যাপারে ভুলটি শুরুতেই হয়েছে। কারণ ১ শতাংশের কম শেয়ার ছাড়তে দেয়া ঠিক হয়নি। কেন বিএসইসি এটি করল, তা আমাদের বুঝে আসে না। তিনি বলেন, কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনের সত্যতা নিয়ে কথা হচ্ছে। তবে আগামী দিনে কোম্পানির আয় এবং কী হারে লভ্যাংশ দিচ্ছে, তা বিবেচনায় নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

ডিএসইর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে ওয়ালটনের আয় কমেছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে আয় হয়েছে ৫ টাকা ১৭ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ১১ টাকা ১৪ পয়সা। বিষয়টি ওয়ালটনের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম দাশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বিষয়টি নিয়ে আজ রোববার লিখিতভাবে জানাবেন বলে তিনি জানান।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওয়ালটন তালিকাভুক্ত হওয়ায় বাজারে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে কোম্পানি কৌশলে ক্ষুদ্র অঙ্কের শেয়ার ছেড়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে। দ্বিতীয়ত, অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে কোম্পানির বাজার মূলধন বাড়ানো হয়েছে, যা অবাস্তব। তৃতীয়ত, শেয়ারের দাম অযৌক্তিকভাবে বেড়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরি করবে এবং এতে বিনিয়োগকারীরা বড় ধরনের ক্ষতিতে পড়বে এবং সর্বশেষে ভবিষ্যতে অন্য কোম্পানিগুলো এই সুযোগ নেবে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজারের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থে ওয়ালটনের ব্যাপারে কমিশনের দ্রুত কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। প্রথমত, তাদের (ওয়ালটনের) আর্থিক প্রতিবেদন পুনঃনিরীক্ষা করে কোম্পানির আসল চেহারা উন্মোচন করা উচিত। দ্বিতীয়ত, কারসাজি বন্ধ করে বাজারে সুশাসন ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে কোম্পানিকে ২৫২ টাকা দরে আরপিওর (রিপিট পাবলিক অফার) মাধ্যমে ন্যূনতম ১০ শতাংশ (আরও ৯ শতাংশ) শেয়ার ছাড়তে বাধ্য করা। তৃতীয়ত, ভবিষ্যতে কোনো কোম্পানি পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের নিচে শেয়ার ছাড়তে পারবে না, এ বিষয়টি নিশ্চিত করা। চতুর্থত, যেসব প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বিডিংয়ে অযৌক্তিক দাম প্রস্তাব করেছে, তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। সবশেষে, এর আগেও এ ধরনের কারসাজিতে ইস্যু-ম্যানেজারও জড়িত ছিল। তাদেরও বিচারের আওতায় নিয়ে আসা উচিত।

জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ওয়ালটন একটি পরিচিত কোম্পানি। কিন্তু ১ শতাংশেরও কম শেয়ার নিয়ে কোম্পানিকে বাজারে তালিকাভুক্ত হতে দেয়া উচিত হয়নি। কারণ এতে বাজারে কারসাজির সুযোগ তৈরি হয়। তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে অবশ্যই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল। আর বর্তমানে কারা অতিরিক্ত দাম প্রস্তাব করছে, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

জানা গেছে, আইপিওতে ২৫২ টাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এই কোম্পানির শেয়ার পেয়েছে। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর বাজারে এই কোম্পানির প্রথম লেনদেন হয়। নিয়ম অনুসারে প্রথম দিনে ৫০ শতাংশ দাম বাড়তে পারে। কিন্তু লেনদেন শুরুর প্রথম ১ মিনিটের মধ্যেই যে পরিমাণ দাম বেড়েছে, তা সার্কিট ব্রেকার (সর্বোচ্চ সীমা) স্পর্শ করে। ফলে দিনশেষে কোম্পানির ৩০ কোটি ২৯ লাখ শেয়ারের মোট বাজারমূল্য দাঁড়ায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। আর সপ্তম দিন শেষে কোম্পানির বাজারমূলধন প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। অন্যদিকে নিয়ম অনুসারে উদ্যোক্তারা ৩০ শতাংশ শেয়ার হাতে রেখে বাকি ৭০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে টাকা নিতে পারে। সে হিসাবে বৃহস্পতিবারের দাম অনুসারে কোম্পানিটির উদ্যোক্তারা ১৭ হাজার ৫০০ টাকা নিতে পারে। এ ছাড়াও ৩০২ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিতে বর্তমানে ব্যাংক ঋণ ২ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি ঋণ ১ হাজার ৯২০ কোটি এবং দীর্ঘমেয়াদি ৬২০ কোটি টাকা। এর মানে হল- ঋণজনিত ঝুঁকিতে এই প্রতিষ্ঠান।

চরম মন্দাবাজারে অতিরিক্ত দামেই রহস্যজনক কারণে অনুমোদন পেয়েছে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের প্রাথমিক শেয়ার (আইপিও)। কোম্পানিটির ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ার আইপিওতেই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ২৫২ টাকায় কিনতে হয়। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ এবং বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় না নিয়ে অদৃশ্য কারণে অনুমোদন দেয় বিএসইসি। মার্চের শুরুতে ওয়ালটনের বিডিং শেষ হয়। এরপর তা অনুমোদনের জন্য বিএসইসিতে আবেদন করে কোম্পানিটি। পরবর্তী সময়ে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে আর্থিক বিবরণী পুনর্মূল্যায়নের দাবি আসে। এরপর আইপিও থেমে যায়। গড়িয়ে যায় অনেক সময়। এরপর নতুন কমিশন এসে আইপিও অনুমোদন দেয়। এক্ষেত্রে বর্তমান কমিশনের একজন কমিশনার আপত্তি (নোট ডিসেন্ট) দিলেও তা আমলে নেয়া হয়নি।

জানা গেছে, বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে কোম্পানির কাট অফ প্রাইস নির্ধারিত হয় ৩১৫ টাকা। এক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিবেদনকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখায় ওয়ালটন। বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বেশি প্রিমিয়াম পেতে এক বছরেই ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের আয় বৃদ্ধির অস্বাভাবিক তথ্য তুলে ধরা হয়। যেখানে দেখা যায়, আগের বছরের চেয়ে ২০১৮-১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা ২৯১ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে কোম্পানিটির মোট ৫ হাজার ১৭৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। যার বড় অংশ বিক্রি দেখানো হয়েছে একই গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন প্লাজার কাছে। এসব পণ্য বিক্রির বড় অংশ বাকিতে। এই বাকিতে বিক্রির অর্থই মুনাফা হিসেবে দেখানো হয়েছে। আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ১ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে। আগের বছর যা ছিল ৩৫২ কোটি টাকা। অথচ পণ্য বিক্রি বৃদ্ধির হার দেখানো হয়েছে ৮৯ দশমিক ৪ শতাংশ। এর মানে হল- পণ্য বিক্রি কম, কিন্তু মুনাফা অনেক বেশি, যা সাংঘর্ষিক ও অস্বাভাবিক। কিন্তু এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তাদের মুনাফা ৫২ শতাংশ এবং টার্নওভার ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছিল। অন্যদিকে কোম্পানির মুনাফা বাড়লেও একই বছরে কোম্পানির ক্যাশফ্লো ১০২ কোটি টাকা কমেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা কোম্পানির অডিট রিপোর্ট পুনঃনিরীক্ষার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু তা আমলে নেয়নি বিএসইসি।

নিয়ম অনুসারে কাট-প্রাইস নির্ধারণের পর বিএসইসির হাতে দুটি অপশন থাকে। আইন অনুসারে এই শেয়ারের দাম বিএসইসি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ কমাতে পারে। অথবা বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অর্ডিন্যান্সের ২ সিসি ধারার ক্ষমতাবলে বিডিং বাতিল করতে পারে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুই কারণে ওয়ালটনের বিডিং বাতিল করতে পারত কমিশন। প্রথমত, কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে সমস্যা। দ্বিতীয়ত, করোনার কারণে পুরো বাজার তলানিতে চলে এসেছিল। ফলে আগের নির্ধারিত দামে এখন আইপিও অনুমোদন অযৌক্তিক। বাজারে কারসাজির বড় হাতিয়ার হয়েছে ওয়ালটন। কারণ কোম্পানিটি বাজারে মাত্র ১ শতাংশেরও কম শেয়ার ছেড়েছে। এতে কয়েকজন বিনিয়োগকারী মিলে শেয়ার কিনে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে পারবে।

পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য ৭ জানুয়ারি বিএসইসি ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজকে বিডিংয়ে অংশ নেয়ার অনুমোদন দেয়। এ অনুমোদনের ফলে কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণে ২ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত যোগ্য বিনিয়োগকারীরা বিডিংয়ে অংশ নেয়। এ সময়ের মধ্যে বিডিংয়ে অংশ নেন ২৩৩ জন। এ বিনিয়োগকারীরা সর্বনিু ১২ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৭৬৫ টাকা করে ওয়ালটনের শেয়ার কেনার জন্য প্রস্তাব দেন। তবে ৭৬৫ টাকা প্রস্তাব করেছে ইসলামী ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি যুগান্তরকে জানায়, তারা ভুলবসত সেটি করেছে। পরে ভুল সংশোধনের বিএসইসিতে আবেদনও করেছিল। কিন্তু তা আমলে নেয়া হয়নি।