কেমন আছেন বকুলতলার শিল্পীরা

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত কুমারখালীর শিলাইদহের কুঠিবাড়ির পুকুরপাড়ের বকুলতলায় বসে প্রায় দেড়যুগ ধরে রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে আসছেন অন্ধ বাউল আতিয়ার রহমান ও তার দল।

তাঁর ছেলে বাউল ওলিদুল ইসলামসহ গ্রামের আরও চারজন কৃষককে নিয়ে তাঁর এই গানের দল।

তবে বেশ কয়েক বছর হলো অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় আর গাইতে পারেন না শিল্পী আতিয়ার রহমান। তবে তার ছেলে ওলিদুল ইসলাম শিষ্যত্ব লাভ করে দরাজ গলায় গেয়ে শোনান রবীন্দ্র সঙ্গীত।

তাঁদের দলবদ্ধভাবে গাওয়া গান শুনেই দর্শনার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া বখশিষেই চলে তাদের সংসার। তবে ঢাকা থেকে আসা দর্শনার্থীরা এলে কেউ দুই-পাঁচশো টাকা দিলে সে তাদের সেদিনটা খুবই ভালো কাটতো।

সম্প্রতি করোনা ভাইরাস প্রাদুভার্বে সবকছিুই বন্ধ ঘোষণায় তারাও বিপাকে পড়েছে। আর গান গাওয়া হয় না পায়না বখশিষও। তাই তাদের চলতে এখন অনকেটাই কষ্টে দিনাতিপাত করছে।

বাউল ওলিদুল ইসলাম বলেন, দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের সাথে আমার বাবা বাউল আতিয়ার রহমান তার দরাজ কণ্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত অন্যরকম এক অনুভূতির জাগায়। আমি ছোটবেলায় থেকেই বাবার সাথে এই বকুলতলায় আসতাম। গান শুনতাম। আর ভাবতাম আমিও যদি বাবার মতো করে সুন্দর গলায় গাইতে পারতাম। বাবা অসুস্থ্য হয়ে পড়ার পর আমিই এই দলের হাল ধরেছি।

বাবার সাথে রবীন্দ্রসঙ্গীত, লালন গীতি ও মানিকগঞ্জের দেওয়ান রশিদ বাউলের গান গেয়ে আয়ত্ব করেছি। তিনি বলেন, এখানে গান গেয়েই আমরা ৫-৬ জন সংসার চালাতাম। কিন্তুু দেড়মাস হলো করোনা দুর্যোগে সবকিছু বন্ধ থাকায় আমরা অনেক কষ্টের মধ্যে আছি। তবে সম্প্রতি কুমারখালী উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে একবার খাদ্যসহায়তা পেয়েছি।

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিবুল ইসলাম খান বলেন, বেশ কিছুদিন তারা কর্মহীন হয়ে পড়ায় বিষয়টি আমি জানতে পেরে তাদের ডেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি। আবারও সম্ভব হলে তাদের পাশে দাঁড়ানো হবে।