কেরুর আওতায় ৭ হাজার একর জমিতে আখচাষের লক্ষ্য মাত্রা

সরকার আখের মুল্য বৃদ্ধি করায় দর্শনা কেরু চিনিকল সহ এলাকার প্রান্তিক চাষীরা আখচাষে ঝুকে পড়েছে। ২০২২-২৩ রোপন মৌসুমে ৭ হাজার একর জমিতে আখচাষের লক্ষমাত্রা নিয়ে কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষ মাঠে নেমেছে।

চিনিকলের কৃষি বিভাগ জানায়, গত ১ সেপ্টেম্বর রোপন মৌসুম শুরুর পর স্ব স্ব এলাকার চাষীরা ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা নিয়ে নিজ নিজ জমিতে আখ রোপন করতে দেখা গেছে। মৌসুমি বৃষ্টি জনিত কারনে গত ৪/৫ দিন আখ রোপন সম্ভব না হলেও গত এক সপ্তাহের ব্যাবধানে প্রায় পৌনে দু‘শ বিঘা জমিতে আখ রোপন ও বীজতলা করা হয়েছে। মিলজোন এলাকার বড় আখচাষী মো তৈয়ব আলি জানান গত বছর একমন (৪০কেজি) আখের মুল্য ছিল ১শ৪০ টাকা এবার ১শ ৮০ টাকা।এ জন্য আমি এবার ২৫ থেকে ৩০ বিঘা জমিতে ভাল ও উন্নত জাতের আখচাষ করবো।

মিলের জি এম (কৃষি) আশরাফুল আলম ভুঁইয়া গত মঙ্গলবার জানান এ বছর চিনিকলের খামারে ১হাজার ৫৫৯ ও চাষীর জমিতে ৫হাজার ৫৪১ একর। মোট ৭হাজার একর জমিতে আখচাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। তিনি বলেন সরকার দেশের মানুষ ও সাধারন চাষীদের স্বার্থে একমন আখের মুল্য মিলগেট এলাকায় ১শ ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১শ ৮০ টাকা, বহিঃকেন্দ্রে( সেন্টারে) ১শ৩৭ থেকে ১শ৭৬ টাকা করেছে।তা ছাড়া আসন্ন মাড়াই মৌসুম চালুর পর জানুয়ারী মাসের ১৫ তারিখ থেকে ১৫ দিন পরপর কুইন্টাল প্রতি ৫ টাকা হারে ৫ বার মুল্য বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।

যদি ফাউন্ডেশন বা রেজিস্টার বীজ ক্ষেত হয় তাহলে মিলে আখ সরবরাহ যোগ্য আখের চাইতে বীজ আখ কুইন্টাল প্রতি ৮ টাকার স্হলে ১০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তিনি জানান, গত বছর কেরুর নিজস্ব জমিতে দন্ডায়মান আখ ছিল ১হাজার ৫০ একর, চাষীর দন্ডায়মান আখছিল ৪হাজার ২শ৩০ একর।

যা গত বছরের চাইতে এ বছর প্রায় ২ হাজার একর জমিতে বেশী আখচাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। মিলের আখচাষী কল্যান সমিতির সভাপতি আঃ হান্নান ও সাধারন সম্পাদক আঃবারি বলেন আখের মুল্য কিছুটা হলেও বেড়েছে, যার জন্য আখচাষ বাড়বে তবে চিনির বিক্রয় মুল্য বাড়িয়ে আখের মুল্য আরো একটু বাড়ানো দরকার। জি এম (প্রশাসন) শেখ মোঃ শাহাব উদ্দিন, বলেন আমরা উন্নত জাতের ও চিনি সমৃদ্ধ আখ চাষের উপর জোর দিয়েছি।যাতে করে চাষী ও মিল উভয়ই লাভবান হতে পারে। চিনিকলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো মোশারফ হোসেন বলেন ইতি মধ্যে আখের মুল্য বৃদ্ধি পাওয়াই আখচাষীদের মধ্যে বেশ সাড়া পড়েছে ও আখের বীজতলা তৈরি প্রস্তুত বেড়েছে, আশা করা হচ্ছে এ বছর বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন এর নির্ধারিত টারগেট (ল্ক্ষমাত্রা) পুরন করতে সক্ষম হবো।

তিনি আরও বলেন, এ অচ্ঞলের চাষীরা আখ লাগালে সরাকারী ভাবে যে সারের রেট ২২ টাকা কেরু দিচ্ছে ১৬ টাকা যাতে করে কেরু চিনিকলটি সচল ভাবে চলে।এবং লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়।