কোটচাঁদপুরে শখের লাট সাহেবের মূল্য লাখ টাকা, প্রদর্শনীতে অর্জন প্রথম পুরস্কার

কোটচাঁদপুরে শখের লাট সাহেবের মূল্য লাখ টাকা, প্রদর্শনীতে অর্জন প্রথম পুরস্কার

শখের ছাগল। নাম তাঁর লাট সাহেব। মূল্য হবে লাখ টাকা। বলছেন ছাগল মালিক নাহিদ হাসান। গতকাল বৃহস্পতিবার এ ছাগলটির দেখা মিলেছে কোটচাঁদপুর প্রাণী সম্পদ অফিসের প্রদর্শনী মেলায়।

তিনি বলেন,ছোট বেলা থেকে পশু পালন করে আসছি। যার মধ্যে ছিল ইদুর,খোরগোশ,টিয়া। তবে সে গুলো লাভ জনক ছিল না। শখ করে পালন করতাম। ওইগুলো দেখে মা বলতেন, শখের জন্য পালন করলেও লাভ হবে এমন পশু পালন করতে হবে।

মায়ের কথা শুনে ইউটিউবে সার্জ দিলাম। চোখে পড়ল হাইব্রীড জাতের কিছু ছাগল। এরমধ্যে বেশি পছন্দ হয় এ ছাগলটি। গেল দুই বছর হল ছাগলটি ৫ হাজার টাকা দিয়ে নাটোর থেকে কিনে ছিলাম। এরপর থেকে অতি যত্নে পালন করছি ছাগলটি। এ ছাড়া আরো অন্য জাতের ছাগল রয়েছে। তবে মূল লক্ষ্য তাঁর উপর।

তিনি বলেন, এ ছাগলটি তোতাপুরির সঙ্গে যমুনা পাড়ির সংমিশ্রণ (হাইব্রিড)। ছাগলটির বর্তমান ওজন ১ শ কেজি হয়েছে। মাংসে ধরলে ৬০/৭০ কেজি হবে। বাজার মূল্য অনুযায়ী দাম ৭০/৮০ হাজার হবে। তবে এখনই ছাগলটি বিক্রি করছিনা। মূলত এ ধরনে ছাগল দুই ঈদ উৎসবে বিক্রি করলে ভাল দাম আসে। তবে আমার ইচ্ছে লাখ টাকার মত দাম পেলে ছাগলটি বিক্রি করার ইচ্ছে আছে।

নাহিদ আরো বলেন, গেল ৫ বছর ধরে আমি এ ধরনের ছাগল পালন করে আসছি। তবে এর আগে এত বড় ধরনের ছাগল হয়নি। আর এত দামেরও আশা করিনি।

মেলায় তোলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার ছাগলটি অনেকে দেখেছেন। ওরাই আমাকে জানায় প্রদর্শনীর মেলার কথা। খবর শুনে মেলায় আনা। এ ছাড়া মানুষ কে উৎবুদ্ধ করাটাও ছিল আমার আরেকটি লক্ষ্য। যাতে করে অনেকে আমার মত শখ করে পালন করে লাখ টাকা বিক্রির স্বপ্ন দেখে।

নাহিদ হাসান, কোটচাঁদপুর নারান বাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। সে ওই গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে। সে কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত। মেলায় ছাগলটি প্রদর্শনী করিয়ে প্রথম পুরস্কার অর্জন করেছেন ওই যুবক।