গাংনীতে এনআইডি নিতে এসে জানলেন তারা মৃত!

মেহেরপুরের গাংনীতে দুই ব্যাক্তি এনআইডি (জাতীয় পরিচয় পত্র) কার্ড সংগ্রহ করতে এসে তারা জানতে পারলেন অনেক আগেই তারা মৃত বরণ করেছেন। অফিস তথ্যে লেখা হয়েছে এমন তথ্য।

ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন, এমন অনেক ক্ষেত্রেই হয়েছে। কবে এ তথ্য পুনরাই সংশোধন করা কঠিন বিষয়। নির্বাচন অফিস বলছেন এমন অনেকের ক্ষেত্রেই হয়েছে, এটি কাদের ভুল তা বলা যাচ্ছেনা।

রবিবার সকাল ১১ টার দিকে মেহেরপুরর গাংনী উপজেলা নির্বাচন অফিসে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংগ্রহ করতে আসেন গাংনী আড়পাড়া গ্রামের ৭৫ বছর বয়সি রবকুল ৫৫ বছর বয়সী নাসিরের স্ত্রী মোছাঃ মুর্শিদা খাতুন।

ভুক্তভোগী মুর্শিদা খাতুনের আইডি নং (৫৭১৪৭২১৩৭৬৩৩১) জানান, তিনি স্বামীর মৃত্যুর পর সংসারে অভাব অনটনে দিনানিপাত করছি। বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করে সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে বিধবা ভাতা পওয়ার জন্য তালিকা ভুক্ত হয়েছি। তার নামে একটি বিকাশ একাউন্ট করতে হবে। বিকাশ একাউন্ট করতে এনআইডি স্মার্ট কার্ড প্রয়োজন। রবিবার সকালে নির্বাচন অফিসে স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে আসলে অফিসের লোকজন আমাদের নামের কার্ড বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। অফিসের তথ্য অনুযায়ী আমাদের তথ্যে মৃত বলা হয়েছে। স্মার্ট কার্ড ব্যাতিত আমরা সিমকার্ড পাচ্ছিনা। আমি জীবীত থাকা সত্বেও মৃত বলা হচ্ছে। একারনে আমাদের ভাতার টাকা পাচ্ছিনা। আমরা গ্রামের অশিক্ষিত মানুষ এর থেকে উত্তরনের উপায় কী? তাও জানিনা। একই কথা জানালেন আর এক ভুক্তভোগী রবকুল।

এর আগে একই সমস্যায় পড়েন কোদাইল কাটি রাজাপুর গ্রামের ৭১ বছর বয়সি মুনসুর আলী। নির্বাচন অফিসের তথ্য অনুযায়ী তিনিও মৃত।

ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান বলেন, এমন বেশ কয়েকজন আমার কাছে এসেছিলেন। সমস্য হয়েছে তথ্য সংগ্রহকারীদের ভুলে। তবে ভুক্তভোগীদের বিষয়টি বিবেচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন এনআইডি কার্ডের তথ্য সংগ্রহকারি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়। তাছাড়া গ্রামের মানুষ বিষয়টি প্রাথমিক অকস্থায় গুরুত্বহীন ভেবে ভুলভাল তথ্য প্রদান করেন। যখন বিপদে পড়েন তখন তথ্য সংগ্রহ কারীদের দোষারোপ করেন।

গাংনী উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল আজিজ বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্র(এনআইডি) তথ্য সংগ্রহ কারিদের ভুল। এমন সমস্যা কয়েক জনের নয়। মুজিবনগর উপজেলায় এমন সমস্যায় পড়েন এপর্যন্ত ৭ জন এবং গাংনী উপজেলায় ৯ জন। তবে সমস্যার সমাধানের সুযোগ রয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।