গাংনীতে জমি বিক্রয়ের নামে প্রতারণা করে ২১ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার পায়তারা

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরের এক ব্যাবসায়ী প্রতারণার শিকার হয়ে পথে বসে গেছে বলে জানা গেছে।

প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগি ব্যবসায়ী গাংনী বাজারের জননী জহুরা এন্টারপ্রাইজের মালিক মৃত শের আলি মন্ডলের ছেলে মো: আবুল কালাম জানান, গাংনী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড এর পশ্চিম মালসাদহ এলাকার মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে মো: এনামুল হক চৌগাছা মৌজার ৮৫৯৬ দাগে ৩৯ শতক জমির মধ্যে ৩০ শতক জমি ৩৩লক্ষ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে ২১লক্ষ টাকায় বায়না করে।

গত ২০১৭ সালের জুলাই মাসের ১৭ তারিখে অ্যাডভকেট নাজমুন নাহার খানমের নিকট জমি ক্রয় সংক্রান্ত একটি বায়না নামা সম্পাদন করা হয় বলে জানান ভুক্তভোগি মো: আবুল কালাম।

বায়না নামার মাধ্যমে ৩০ শতক জমি ক্রয় বাবদ নগদ ২১ লক্ষ টাকা মো: এনামুল হক ঠান্ডুকে পরিশোধ করে পরবর্তি ২ বছরের মধ্যে বাকি ১২ লক্ষ টাকা পরিশোধ করে জমির মালিকানা রেজিষ্ট্রির মাধ্যমে মো: আবুল কালামকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও বিক্রেতা মো: এনামুল হক ঐ জমি অন্যত্র বিক্রয় করে দেয় বলে জানান ভুক্তভোগি আবুল কালাম।

পরে বাকি টাকা পরিশোধ করে জমি রেজিষ্ট্রি চাইলে বিক্রেতা ঠান্ডু ভুক্তভোগি আবুল কালামকে বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানি দিতে থাকে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এক পর্যায়ে জমির উপর সাইনবোর্ড লাগিয়ে রাখেন ভুক্তভোগি আবুল কালাম। কিছু দিন পর সেই সাইনবোর্ড তুলে ফেলেন বিক্রেতা এনামুল হক।

এর প্রতিবাদ জানাতে গেলে জমি বায়নাকারি এনামুল হক নানানভাবে হয়রানি দিয়ে থাকে বলে জানান আবুল কালাম ।

এ বিষয়ে কয়েক দফা বিভিন্ন মহলকে নিয়ে বসেও সুরাহা না হওয়ায় পরবির্ততে ভুক্তভোগি আবুল কালাম মেহেরপুর ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে সে মামলা চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান।

ভুক্তভোগি আবুল কালাম জানান, বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা নিয়ে তার জমি ক্রয় করার জন্য বায়না দিয়ে এখন সে জমিও ভোগ করতে পারছিনা আবার মোটা অংকের টাকা হাতছাড়া করে ব্যবসারও চরম ক্ষতি হয়ে গেছে। টাকা হাতছাড়া হওয়ার কারণে ব্যবসা চালাতে গিয়ে নিজেস্ব ট্রাক ও কয়েকটি সম্পত্তি বিক্রয় করে এখন পথে বসে গেছেন বলে জানান তিনি।

এদিকে জানতে চাওয়া হলে বায়নাকারি এনামুল হক ঠান্ডু বলেন, আমি তার কাছে কোন জমি বিক্রয়ের জন্য টাকা নেয়নি। এনামুল হক আরও বলেন আবুল কালাম আমার জমির উপর কয়েকবার সাইনবোর্ড লাগিয়ে জমি নিজের দাবি করে সেজন্য তার সেই সাইনবোর্ড তুলে ফেলে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগি আবুল কালাম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।