গাংনীতে প্রকৃত চাষীর কার্ড নকল করে ধান ক্রয়

গাংনীতে চলতি মৌসুমে আভ্যন্তরীণ আমন ধান ক্রয়ের ধান চাষীদের লটারী ড্র সুষ্ঠুভাবে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হলেও ধান ক্রয়ে চলছে ছলচাতুরি। একজন লটারী ধারীর কার্ড নকল নামধাম বসিয়ে গুদামে ধান ক্রয় করার অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি ধানখোলা ইউপির গাড়াডোব গ্রামের বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা ও গাড়াডোব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নানের কৃষি কার্ড নকল করে একই গ্রামের নজির নিজেকে মান্নান পরিচয় দিয়ে কার্ডে ১ মেট্রিক টন ধান বিক্রয় করেছে বলে প্রমান মিলেছে।

প্রকৃত লটারী কার্ডধারী চাষীদের ঘরে আমন ধান না থাকায় কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী ২ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকায় কার্ড ক্রয় করে ধান বিক্রয় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অনেক ধান চাষী অভিযোগ করে বলেন, গুদামে প্রকৃত ধান চাষীদের সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকজন। বেশীরভাগ কার্ডসংগ্রহকারী রাজনৈতিক দলের নেতা ও অসাধু ব্যবসায়ী।

ইতোমধ্যে গাংনী খাদ্য গুদামে উপজেলার ৯ টি ইউপি ও পৌরসভার সর্বমোট ১ হাজার ৬৮৮ জন ধান চাষী বাছাইয়ে লটারীধারীর বেশীরভাগ কার্ডের অনুকূলে ধান ক্রয় করা হয়েছে।
কার্ডধারী কৃষক আব্দুল মান্নান জানান, আমি লটারীধারী কৃষক। আমার কার্ডের বিপরীতে গাড়াডোব গ্রামের নজির হোসেনকে ম্যানেজ করে জনৈক হাফিজুর রহমান নামের ক্ষমতাসীন দলের কর্মী পরিচয়ে মধ্যস্বত্তভুগী গুদাম কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বাইরের ধান বিক্রয় করছে দেদারছে। কার্ড জমা দেয়া হলেও প্রকৃত কৃষকদের ধান ক্রয়ের সময় দেখা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা ওসিএলএসডি মতিয়ার রহমান জানান, আমরা কার্ডের বিপরীতে ধান ক্রয় করছি। কার্ড নকল করার বিষয়টির অভিযোগ পেয়েছি। প্রতারক তার অপরাধ স্বীকার করেছে এবং প্রকৃত কার্ডধারীর কাছে ক্ষমা চেয়েছে। তবে এখন থেকে প্রকৃত ধান চাষীদের সরেজমিনে না পেলে তাদের ধান ক্রয় করবো না।

মেপ্র/ইএম