
মেহেরপুরের গাংনীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে চার বছরের প্রেমের অভিযোগ এনে বিয়ের দাবিতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা দুই দিন ধরে অনশন পালন করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আজ শুক্রবার বিকাল ৪ টা পর্যন্ত তার বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
এদিকে বিয়ের দাবিতে স্কুল শিক্ষিকা সালমা খাতুন বাড়িতে আসার সাথে সাথে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক আমিরুল ইসলাম সুফল বাড়ি ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে গেছেন। আমিরুল ইসলাম গাংনী উপজেলার চেংগাড়া গ্রামের আনারুদ্দীনের ছেলে ও চেংগাড়া সরকারির প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। সালমা খাতুন একই উপজেলার গোপালনগর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মহিষকুন্ডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক (বাংলা)।
সালমা খাতুন অভিযোগ করেন, বিগত চার বছর যাবৎ আমার সাথে প্রেম করছে সে। প্রেমের সম্পর্কের কারণে সে বিভিন্ন স্থানে আমাকে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে। সব ধরণের সম্পর্কও তৈরী হয়েছে। আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়েছে বিভিন্ন সময়ে। আমি চাকুরি পেলে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল। আমি এখন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিসেবে চাকুরি পেয়েছি। কিন্তু সুফল আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেনা। এমনকি আমার ফোনটুকুও ধরেনা। আমি তার বাড়িতে চলে এসেছি। বিয়ে না করলে এই বাড়ি থেকে আমার লাশ বের হবে।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক আমিরুল ইসলাম অজ্ঞাত স্থান থেকে মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন, তার সাথে আমার কোনো ধরণের সম্পর্ক নেই। বিয়ের জন্য সে আমাকে ব্লাকমেইল করছে।
অভিযুক্ত শিক্ষকের খালাত ভাই বাবু জানান, দুজনেই স্কুল শিক্ষক। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আছে কিনা আমরা কেউ জানিনা। অনশনকারী সালমা খাতুন প্রেমের সম্পর্ক আছে দাবি করলেও আমিরুল ইসলাম সুফল সেটা মিথ্যা দাবি করছে। এই মূহূর্তে আমরা মেয়ের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তার পরিবারের লোকজনও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাইনি। বিষয়টি গাংনী থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারাও এসে রিপোর্ট নিয়ে চলে গেছে। মেয়েটি আজ বিকাল পর্যন্ত এখানেই বসে আছে।
এদিকে আমিরুল ইসলাম সুফল মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন, ওই শিক্ষিকার সাথে আমার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। তার সাথে বিয়ের কথা হয়েছিল এক সময়। তারপর থেকেই সে আমাকে জালাচ্ছে। আমি তাকে বিয়ে করবো না। বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলেন কেনো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরণের একটা পরিস্থিতিতে না পালিয়ে উপায় ছিলনা।
এব্যাপারে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাশ বলেন, ঘটনাটি শোনার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।


