
বসুন্ধরা শুভসংঘ গাংনী উপজেলা শাখার আয়োজনে “কেমন চাই আগামীর বাংলাদেশ?” শীর্ষক আলোচনা ও বার্ষিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
একাত্তরের চেতনা ও চব্বিশের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করে আগামীর বাংলাদেশকে একটি উন্নত সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয় সভায়।
অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা শুভসংঘ গাংনী উপজেলা শাখার উপদেষ্টা সৈয়দ জাকির হোসেন মাস্টার বলেন, একাত্তরের চেতনা ও চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে ধারণ করে আগামীর বাংলাদেশকে একটি উন্নত সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা মেহেরপুর জেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বকুল বলেন, ডান-বাম কিংবা বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে নয়, বাংলাদেশকে এখন হাঁটতে হবে নিজের নাক বরাবর বাংলাদেশপন্থী হয়ে।
ইঞ্জিনিয়ার ও বসুন্ধরা শুভসংঘের উপদেষ্টা রাশেদ বোরহান বলেন, ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে তরুণদের সঙ্গে নিয়ে ইসলামের আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে কাজ করতে হবে।
মেহেরপুর জেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল ইসলাম তরুণ সমাজ ও রাজনৈতিক কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তরুণদের এই বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশ। সমাজের সব শুভ কাজে তরুণদের একটি প্ল্যাটফর্মে এসে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে কাজ করতে হবে। সেই কাজই করে যাচ্ছে বসুন্ধরা শুভসংঘ।
শীতের বিকেলে গাংনী উপজেলার আব্দুল মজিদ মাস্টার স্টাডি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা ও বার্ষিক সভায় প্রাণবন্ত আলোচনা হয়।
একঝাঁক তরুণদের অংশগ্রহণে আয়োজিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ গাংনী উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মাহফুজ রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক এস. এম. তারেক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও সাংবাদিক জুলফিকার আবির, ত্রাণ ও দুর্যোগ সম্পাদক ফাহাদ হোসেন শিহাব, কার্যকরী সদস্য ইয়াছিন হাবিব, জায়েদ কবির এবং ওয়াহিদুজ্জামান স্বপ্নীল।
নতুন বছরে বসুন্ধরা শুভসংঘ গাংনী উপজেলা শাখা কীভাবে ভিন্নধর্মী সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে এবং বসুন্ধরা শুভসংঘ ডিজিটাল পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা যায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন রাজু আহমেদ বনি।


