গাংনীতে বিএনপির ১০ দফা ও বিদ্যুদের মূল্য কমানোর দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ

গাংনীতে বিএনপির ১০ দফা ও বিদ্যুদের মূল্য কমানোর দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ

মেহেরপুরের গাংনী উপজলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার বিকেলে গাংনী উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে তত্বাবধায়ত নিরপেক্ষ সরকারের অধিীনে নির্বাচন,বেগম খালেদা জিয়ারসহ সকল রাজবন্ধীদের নিঃশর্ত মুক্তিসহ ১০ দফা দাবী ও বিদ্যুতের মুল্য কমানোর দাবী করা হয়।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হকের সভাপেিতত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জাবেদ মাসুদ মিল্টন।

উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্ট, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবদাল হোসেন, জেলা যুব দলের সাধারণ সম্পাদক কাউছার আলী, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসনে মেঘলা, জেলা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মালেক হোসেন চপল, বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান গাডডু, আলফাজ উদ্দীন কাল, মহিলা দলের নেতৃ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাইলা আরজুমান বানু, মহিলা দলের নেতৃ ফেরদোসা বেগম,সেচ্চা সেবক দলের নেতা বাচ্চু,কৃষক দলের নেতা শাওন, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সাজেদুর রহমান বিপ্লব,সদস্য সচিব রিপন হোসেনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

গাংনী পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোকবুল হোসেন মেঘলার সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সহ সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, বর্তমান সরকার নিশি রাতের সরকার। সৈরাচারী সরকার। ভোট চুরির সরকার। গুম খুনের সরকার। এই নিশি রাতের সরকারের অধিনে আর কোন নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেনা বিএনপি। বিগত দিনের নির্বাচন হয়েছে ডিজিটাল পর্যায়ের নির্বাচন। যা ডিজিটাল কায়দায় ভোট চুরি করা হয়েছে। ডিজিটাল কায়দায় দেশের টাকা চুরি করে বিদেশে পাঠিয়ে দেশকে আজ নিঃস্ব করে তুলেছে নিশি রাতের সরকার। রাতারাতি দ্রব্যমুল্যের দাম বৃদ্ধি করে জনগনকে বিপদে ফেলেছেন। হাটবাজারে গেলে অনেকেই পরিবারের চাহিদা অনুযায়ী খাদ্যপণ্য কিনতে পারছেননা। অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে পরিবার চালাতে হচ্ছে কৃষকসহ স্বল্প আয়ের মানুষ॥ আর এইসকল নির্যাতিত, নিপীড়িত,শোষিত মানুষকে মুক্ত করতে যারা সৈরাচারী সরকারের পতনের ডাকে সাড়া দিয়েছে তারাই এই প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা। সরকার দলীয়দের নানা অত্যাচার সহ্য করতে করতে মানুষ আজ জেগে উঠেছে,মানুষ আজ রাজ পথে নেমেছে। আর মানুষ যখন প্রতিবাদের কথা বলতে পারছে খুব শিঘ্রই সরকারের পতন ঘটবে। তাই এই সকারের মেয়াদ শেষের আগেই পদ ত্যাগ দাবী করেন।

তিনি আরও বলেন, গাংনীতে যারা বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মির্থ্যা মামলা করে হয়রানী করছে তাদের তালিকা করছে বিএনপি। সরকারের সময় সারা দেশের বিএনপির যেসকল নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে তাদেরকে পরিবারের মাঝে ফিরিয়ে দেয়ার দাবী করা হয় বিক্ষোভ সমাবেশে।

গাংনীতে নিজেরাই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিএনপির নিরিহ ছেলেদের নামে মামলা করা হয়েছে। যে ব্যাক্তি এই মামলার বাদী হয়েছেন তার নামও তালিকায় রাখা হয়েছে। তবে তিনি এসব নোংরা খেলা থেকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাবধান হওয়ারও হুশিয়ারী দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিএনপি আপনাদের অনেক আঘাত মুখ বুঝে সহ্য করেছে। আপনারা শুধু মেরেছেন,হামলা করেছেন, মামলা করেছেন.অফিস ভাংচুর করেছেন,নির্যাতন করেছেন এখন আর তা করার চেষ্টা করবেননা। করলে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে বলেও বক্তব্য বলেন তিনি।

জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, ১০ দফা দাবী আদালেয়র যে আন্দোলন তা মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা বিএনপি আগে করেছে। এরপর ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ের আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার গঠন হবে এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশনারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। জনগনের ভোটাধিকার ফিরয়ে দিয়ে এবং তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন দিলে আগামীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি) বিপুল সংখ্যক আসন নিয়ে সরকার গঠন করবে বলে আশাব্যাক্ত করেন বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ গ্রহনকারি বিএনপির নেতাকর্মীরা। গাংনী উপজেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশ গ্রহন করেন।