গাংনীতে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে স’মিল ঘটছে দূর্ঘটনা

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে কাঠ ফাড়াই এর মিল। পরিবেশ দুষনের পাশা পাশি ঘটছে মারাত্মক দূর্ঘটনা। পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিনের পর দিন গড়ে উঠছে এ ধরণের স’মিল।

এ উপজেলায় প্রায় ২৫টি স’মিল রয়েছে যার একটিরও কোন লাইসেন্স নেই বলে একটি নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে।

নীয়মানুযায়ি জনবসতি, বসতবাড়ি, হাসপাতাল, ক্লিনিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও যেকোন সড়ক থেকে অন্তত ২শ’ মিটার দুরে স’মিল গড়ে তোলার নিয়ম থাকলেও সে নীয়ম না মেনেই প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে এসমস্ত স’মিল।

সরেজমিনে দেখা যায়, গাংনী-কুষ্টিয়া প্রধান সড়কের ধারে গাংনী বাজারের সন্নিকটে রাজা ক্লিনিক ও মোক্তারিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার সামনে এবং কয়েক’শ পরিবারের বসবাস এর আশপাশেই অনেক বছর ধরেই স’মিলের ব্যবসা চলমান রয়েছে।

এছাড়াও মেহেরপুর-কুষ্টিয়ার প্রধান সড়ক তেরাইল কলেজের একেবারেই বিপরীত দিকে রাস্তা সংলগ্নে বেশ কয়েক বছর ধরে স’মিলের ব্যবসা করে আসছেন একজন ব্যবসায়ী। সেখানে দেখা যায় প্রধান সড়কের ধারেই গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। প্রধান সড়ক জুড়েই দাড়িয়ে আছে অবৈধযান আলগামন কাটা গাছ গুলি সেখানে আনলোড করার জন্য। এতে করে শব্দ র্দূষণ সহ পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে স’মিল মালিকরা দীর্ঘ দিন ধরে পরিবেশ ছাড়পত্র এমনকি কোন প্রকার লাইসেন্স ছাড়াই প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ব্যাবসা করে আসছিল। এর মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমানের তৎপরতায় কয়েকজন লাইসেন্স করেছেন বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে এক ব্যাবসায়ী বলেন লাইসেন্স করা অনেক ঝামেলার ব্যাপার তাই লাইসেন্স করার উপর আমাদের আগ্রহ থাকেনা। লাইসেন্স এর বিষয়টি সহজ করলে লাইসেন্স করা আমাদের জন্য কোন সমস্যা নয়। রাস্তা বা জনবসতির কাছাকাছি স’মিলের কার্যক্রম বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাবসায়ী বলেন এসব বিষয় নিয়ে কেউ কোন কথা বলেনা তাই এভাবেই করে যাচ্ছি।

মেহেরপুর বন বিভাগের ভার-প্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: জাফর উল্লাহ জানান, গত দু’মাস আগে মাত্র চারজন লাইসেন্স করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান জানান, স’মিল মালিকদেরকে কিছুদিন আগে সতর্ক করা হয়েছে লাইসেন্স এর জন্য এর মধ্যে কয়েকজন করেছে বাকিদের জন্য সময় বাড়িয়ে দিলেও তারা তা করতে পারেনি বা করেনি। পরে খোঁজ নিয়ে দেখে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

-এ সিদ্দিকি শাহীন,গাংনী প্রতিনিধি