গাংনীতে রাজ মিস্ত্রির স্ত্রীকে কু-প্রস্তাব, প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতার ওপর হামলা আহত -৩

গাংনী উপজেলার বেদবাড়িয়া গ্রামের দিন মজুরের স্ত্রীকে কুপস্তাব দেয়ার প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতাসহ দুই জনকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। বুধবার সন্ধায় বেতবাড়িয়া নাটনা পাড়া ব্রীজের নিকোট এ হামলার ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার সকালে আহতরা চিকিৎসা নিতে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। আহতরা হলেন, বেতবাড়িয়া গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে ও কাজিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলেহিম হোসেন (৪০) এবং একই গ্রামের আবু জেহেলের ছেলে আমির হোসেন (৪৫)। এ ঘটনায় শফিকুল ইসলামের ছেলে বাবুল হোসেন (৩০) আহত হয়।

আহত আলেহিম জানায়, বেতবাড়িয়া গ্রামের এক দিন মজুরের স্ত্রীকে দির্ঘদিন ধরে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল একই গ্রামের ছিপারতের ছেলে শফিকুল ইসলাম।

কু -প্রস্তাবের বিষয়টি বেতবাড়িয়া গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে আলেহিমকে জানায় ওই নারী ও তার স্বামী। আলেহিম শফিকুল ইসলামকে মৌখিক ভাবে নিষেধ করার পরেও মহিলার পিছু ছড়েনি শফিকুল।

গতকাল রাতে শফি কুল ইসলাম ওই মহিলার বাড়িতে গেলে আলেহিম স্থানীয় শালিশের মাধ্যমে মিমাংশার চেষ্টা করে। এতে শফিকুল ইসলাম ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে।

বুধবার সন্ধায় আলেহিম মোটরসাইকেলে বাজারে আসার পথে নাটনা পাড়া ব্রীজে পৌছালে শফিকুল ও তার ছেলে তারিক,বাবুল হোসেন এবং আলেকের ছেলে রির্ফোট আলেহিম কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।

এসময় আবু জেহেলের ছেলে আমির হোসেন বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করে আহত করে। আহতরা বর্তমানে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভুক্তভোগী ওই নারী কু-প্রস্তাবের বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, আমি বিচারের প্রত্যাশায় আলেহিম হোসেন কে জানায়। তিনি এর প্রতিবাদ করায় তার ওপর হামলা করা হয়েছে।

এবিষয়ে শফিকুল ইসলাম জানায়, আলেহিমদের সাথে পারিবারিক বিরোধ আছে। আলেহিম ্ওই মহিলাকে দিয়ে মিথ্যা রটাচ্ছে এবং আমাকে হেনস্থা করছে। এ নিয়ে আমার ছেলেদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। আলেহিম আমার ছেলে বাবুল হোসেনের মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। তাকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

কাজিপুর ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম জনায়, বিষয়টি আমি শুনেছি তবে যে মহিলাকে নিয়ে ঘটনার সুত্রপাত তার সাথে আলাপ করে বিষয়টি মিমাংসার জন্য গতকাল সালিশ হবার কথা ছিল। আলেহিম ও তার লোকজন গ্রামের কাউকে না জানিয়ে সালিশে বসায় বিরোধ বাধে। তবে মারধরের বিষয়ে তিনি তেমন কিছু ঘটেনি বলে জানান।

গাংনী থানার ওসি মোঃ ওবাইদুর রহমান জানান, এবিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি,অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।