গাংনীতে শাশুড়ি হত্যা মামলার আসামি ঘাতক বাদশার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী রেকর্ড

গাংনীর করমদি গ্রামের রঙ্গিলা খাতুন হত্যা মামলায় স্বীকারোক্তি দিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে মামলার একমাত্র আসামি সুলতান বাদশা।

বুধবার দুপুরে মেহেরপুর জুডিশীয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল ইসলামের আদালতে নিলে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দী রেকর্ড করেন।

গাংনী থানার তদন্ত অফিসার মনোজিত কুমার নন্দী বলেন, সুলতান বাদশাকে তার শাশুড়ি রঙ্গিলা খাতুন হত্যা মামলায় আটক দেখিয়ে জুডিশীয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নেয়া হয়।

জবানবন্দীতে তার দোষ স্বীকার করেছে। এর আগে পুলিশের কাছে প্রাথমিক ভাবে তার শাশুড়িকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন।

বাদশা বলেছেন, তার স্ত্রীর সাথে প্রায় ঝগড়া ঝাটি লেগেই থাকতো। কয়েক দিন যাবৎ তাকে (স্ত্রীকে) শশুর বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে শাশুড়ি বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ঘটনার দিন এ নিয়ে স্ত্রী ও শাশুড়ির সাথে সকাল থেকেই তুমুল ঝগড়াঝাটি চলছিল।

এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের মাঠের একটি গাছের সাথে রশি দিয়ে আত্মহত্যারও চেষ্টা করে সে। পরে তার স্ত্রী ও শাশুড়ি তাকে মাঠ থেকে ধরে আনেন। কিছুতেই মিটমাট হচ্ছিলনা।

পরে ধারালো হাসুয়া দিয়ে প্রথমে স্ত্রীকে কয়েকটি কোপ মারে। পরে শাশুড়ি ঠেকাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। হত্যা করে নিজ গ্রামে গিয়ে আত্মগোপনে চলে যান ঘাতক সুলতান বাদশা।

ধরা পড়ার ভয়ে দিনের আলোয় আত্মগোপনে থেকে রাতের আধারে দুরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে সে। এক পর্যায়ে স্থানীয় গ্রামবাসির সহযোগীতায় গাংনী থানা পুলিশের হাতে আটক হয় এই ঘাতক।

এদিকে বুধবার দুপুরের দিকে নিহত রঙ্গিলার স্বামী শওকত আলী বাদী হয়ে গাংনী থানায় ৩০২/৩২৬/৩০৭ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১৯, তারিখ ২৪/০৮/২০২২ ইং। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৩ আগষ্ট মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে ঝগড়া ঝাটির জের ধরে স্ত্রী রিংকি খাতুনকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। এসময় রঙ্গিলা খাতুন তার মেয়ে রিংকিকে বাঁচাতে এলে তাকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় সুলতান বাদশা।