গাংনীর কাথুলী ইউনিয়নে নৌকার মাঝি হতে চায় ৭ জন

আগামী ১১ নভেম্বর মেহেরপুরের ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে গাংনী উপজেলার ১নং কাথুলী ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত জবে। এ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশি ৭ জনের নাম জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। তফসিল ঘোষনার পর থেকে চালিয়ে যাচ্ছেন নির্বাচনি প্রচার প্রচারনা। কয়েকজন আবার তফসিল ঘোষনার পরপরই রঙিন পোষ্টার নৌকা প্রতীক দিয়ে ছাপিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন।
তবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কঠোর নির্দেশনা থাকায় বিগত নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের নাম কেন্দ্রে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নির্দেশনায় কাথুলী ইউনিয়ন থেকে ৭ জন নৌকা প্রত্যশী হলেও তার মধ্য ২০১৬ সালের স্থানীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে শিহাব আলী নৌকা মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানার সাথে ২৮৭ ভোটে পরাজয় লাভ করেন। ইতোমধ্যে গত ২৯-০৯-২১ তারিখে তফসিলের পরেই শুরু হয়েছে প্রদ প্রার্থীদের জীবন বৃত্তান্ত জমা দেওয়ার পালা। এবারে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জীবন বৃত্তান্ত স্ব স্ব ইউনিয়নের সভাপতি, সাধারন সম্পাদকের বরাবর প্রেরনের তালিকায় এই ৭ জনের নাম পাওয়া গেছে।
এবারে আওয়ামীলীগ থেকে কাথুলী ইউনিয়নের নৌকা প্রত্যশীদের নামের তালিকায় এই সাত জনকেই খুজে পাওয়া গেছে।
কাথুলী ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যশি যে সাত জন তারা হলেন- ১. মিজানুর রহমান রানা, ২বারের নির্বাচিত ও বর্তমান চেয়ারম্যান। তিনি সাবেক ছাত্রনেতা। ২০১৬ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন। তিনি বর্তমানে মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
২. মনিরুজ্জামান মনি মাষ্টার। তিনি গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
৩. গোলজার হোসেন, কাথুলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
৪. আবুল বাশার, রাজনীতির সাথে জড়িত এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আছেন। তবে তিনি কোন পদে নেই।
৫. আতিয়ার রহমান, গাংনী উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
৬. শিহাব আলী। সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম কাবুল হোসেনের সন্তান। তিনি দলীয় কোন পদে না থাকলেও স্থানীয় আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তবে তিনি গত নির্বাচনে বিদ্রোহী হিসেবে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেছিলেন।
এবং ৭. রাইফেল হোসেন, তিনি স্থানীয় আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
এই সাত জন মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কে নৌকা প্রতিকের চুড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন টিকে থাকবেন সেই আলোচনা ও ঘুনোঘেসা চলছে রাস্তাঘাট সহ বিভিন্ন চায়ের দোকান গুলোতে।
তবে বেশ কিছু আওয়ামীলীগ কর্মীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, টাকা দিয়ে কেউ মনোনয়ন কিনতে না পারেন সেটা দেখতে। যোগ্য পরিক্ষীত নেতাকেই মনোনয়ন দিতে হবে। বিপদে আপদে সব সময় যাকে খুজে পাওয়া যায়, মানুষের পাশে দাড়ান, নেতাকর্মীদের সুখ দু:খ ভাগ করে নেন আমরা এমন নেতাকে চাই।
গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের শিক্ষক রেজাউর রহমান জানান, বিগত দিনে কাথুলী ইউনিয়ন ছিল দাঙ্গা, হাঙা, খুন, ছিনতাই লুটপাটসহ নানা ঝুঁকি নিয়ে ইউনিয়ন বাসি বাস করতো। কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান আসার পর আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারি এবং আলোচিত চেয়ারম্যান নামেও মানুষের মনে যায়গা করে নিয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার সমস্ত অনুদান মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌছে দিয়েছেন। এবারেও আমাদের দাবি যেন তাঁকেই আবারো নৌকা দেওয়া হয়। কাথুলি ইউনিয়নের বিভিন্ন মহল জানান। তবে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রত্যাশী ব্যাক্তিরা ৭জনই ত্যাগি তবে যোগ্য ব্যাক্তি কে চাই।