গাংনীর গাঁড়াডোব গ্রামে নির্বাচন পরবর্তি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া-পুলিশ মোতায়েন

ধানখোলা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বর জাকারিয়া হোসেন জিকরির ভয়ে এলাকা ছাড়া হয়েছে বিনপি সমর্থক ভোটাররা।
আজ সোমবার (২৯ নভেম্বর) সকালের দিকে দেশীয় তৈরী অস্ত্র নিয়ে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে সাবেক ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি বর্তমান (আওয়ামীলীগ কর্মি) জিকিরিয়া ওই ওয়ার্ডে ফুটবল মার্কা প্রতিকে ৮৪৬ ভোট পান। এ ওয়ার্ডে বর্তমান মেম্বর হাবিবুর রহমান( ফিরোজ) ১৭১২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মত সাধারণ সদস্য নির্বাচিত হন। রাতে ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন সদ্য যুবদল থেকে আসা নব্য আওয়ামীলীগ কর্মী জিকরি।

আজ সোমবার সকাল থেকে গাঁড়াডোব গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ইয়াকুব আলী, নুর মহম্মদের ছেলে কাবারুল ইসলাম, মাজেদ আলীর ছেলে আবু তালেব, ভোলা শেখের ছেলে শিলন হোসেন, মুলুক হোসেনের ছেলে ইসমাইল সহ বিভিন্ন লোকজনকে তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র আছে বলে হুমকী দিচ্ছেন। সকাল থেকেই বিজয়ী ইউপি সদস্য ফিরোজ হোসেনের লোকজনকে হুমকী ধামকী দেয়া শুরু করেন। তারা লাঠি শোঠা নিয়ে গ্রামের বিভিন্ন পাড়াতে মহড়াও দিতে থাকেন।

জিকরিয়ার নেতৃত্বে মকলেছ হোসেন, তারিক হোসেন, কিবরিয়া, মিজানুর রহমান, মারুফ হোসেন, ফারুক হোসেনসহ ২৫/৩০ জন লোক নিয়ে মহড়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে ফিরোজ আহমেদের লোকজনও লাঠি শোঠা হাতে নিয়ে বেরিযে পড়েন মোকাবেলা করতে। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। খবর পেয়ে গাংনী থান পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থলে পৌছানোর পর ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যান তারা।

ইউপি সদস্য ফিরোজ জানান, নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই জিকরিয়া সাধারণ ভোটারদের বিভিন্নভাবে হুমকী দেয়া শুরু করেছেন। লাঠি শোঠা নিয়ে বাড়ি বাড়ি হামলা করেছে। তার ভয়ে গ্রামের প্রায় অর্ধশত লোক এখন পালিয়ে গেছে। বর্তমানে গাঁড়াডোব গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘঁর্ষ।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।